অনেক পুরুষ নারীদের কথা শোনে না। হয়ত অবাক ব্যাপার নারী পুরুষ মৌলিক ভাবে একটু ভিন্ন আর এসব পার্থক্য বেশ স্পষ্ট হয় কমিউনিকেশনের বেলায় । এজন্য অনেক নারীর অভিযোগ যে পুরুষ জীবনে এল সে শুনতে জানে না, চায় না। কেন এমন হয় আছে কিছু মতামত ।
০৯ মতামত
১।; নারীর চাহিদা অনেক পুরুষ বোঝে না
নারী অনেক সময় আবেগ মথিত ভাষায় কথা বলে যার র্ম উদ্ধার পুরুষ করতে পারেনা। পুরুষ কিছু চাইলে সোজাসুজি চায় অনেক প্রাক টি ্যাল, নারি বরং অনুভুতি প্রকাশ করে আর এমধ্য দিয়ে চাহিদা জানায়।
Men are from Mars and Women are from Venus গ্রন্থের লেখক জন গ্রে লিখেছেন , রেগে আর হতাশ না হয়ে একজন পুরুষ যখন নারির অনুভুতি শনে তখন সে তাকে দেয় চমৎকার উপহার । সে যত ব্বেশি তার অনুভুতি প্রকাশ করতে পারে তত সে বোঝে তাকে শোনা হয়েছে, আর বোঝা হয়েছে আর তত বেশি সে দেয় পুরুষকে প্রেম ময় বিশ্বাস , গ্রহণীয়তা , প্রশংসা, অনুমদন যা চাই।
২। পুরুষ আলাপের সম্ভার সামলাতে পারেনা,
আলাপনের কৌশলে যত না দরকার শোনা তত দরকার বোঝা ।
যেহেতু পুরুষ আর নারী জিন গত ভাবে বিভিন্ন ভাবে বিন্যস্ত তাই তারা
ভাবে দরকারি কথার সাথে আবেগ মিশ্রিত কথা বোঝা হয়ে যায় সামাল দিতে কষ্ট হয় পুরুষের । কোন সমস্যার অবিলম্বে সমাধান না করতে পারলে পুরুষ হয়ে যায় বিষণ্ণ আর চাপ গ্রস্ত এজন্য অনেক পুরুষ এমন আলাপ এড়িয়ে যায় ।
৩। নারীরা চায় সহমত।আর স্বীকৃতি
অনেক নারি সারাদিন নানান কাজ করেন, ঘর কন্না, সন্তান পালন , অফিস, বিজনেস , মা , কন্যা , স্ত্রী সব ভূমিকায় । এই অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তারা সামান্য যা চান তা হল স্বীকৃতি । পুরুষ অনেক সময় তাদের এই দিন ভর কাজ ভুলেই যান আর তারা কাজ থেকে আলাপে বস্তে বিরক্ত হন এ নিয়ে বাদে দুজনের বিবাদ। অনেক পুরুষ বাইরে গলদ ঘর্ম হয়ে সংসারে অর্থ জোগান আর বাহির সামলান ঘরনি , কিন্তু উল্টোটা হলে ছাড় নাই নারীকে অফিস থেকে এসে আবার সেই ঘরের সব কাজ সামলাতে হয় । অনেক নিম্ন বিত্তদের মধ্যে নারীদের অন্ন সংস্থানে মুল ভুমিকা নিতে আর সংসার ও সামলাতে দেখা যায় স্বামী পেয়েছে তাই নাকি ঢের । তিনি বসে বসে খান আর হুকুম করেন।
৪। পুরুষের মাথায় থাকতে পারে অন্য কিছু।
সাধারনত পুরুষ মাল্টি টাস্ক করতে খুব পারঙ্গম নয় তবে একটিতে খুব মনঃ সংযোগে উত্তম। নারী যখন একটি নতুন ইস্যু আনেন যখন পুরুষ একটি ব্যাপার নইয়ে ইতিমধ্যে ব্যাস্ত তখন নারী তা কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পান না। ভয়ের কিছু পুরুষ াতের কাজ সাম্লে ফেললে আবার আগের মত।
৫। আবেগ পুরুষকে ফেলতে পারে অস্বস্তিতে
পুরুষ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জন গ্রে বলেন, ভালবাসা নিয়ে আসে আমাদের সমস্যা হয়নি এমন সব অনুভুতি , । একদিন মনে কই আমি ভালবাসায় ভাসছি অন্য দিন মনে হয় ভালবাসা বিশ্বাস হচ্ছেনা,। সঙ্গির ভালবাসা বিশ্বাস করতে , আর গ্রহন করার মুখোমুখি হলে প্রত্যাখ্যাত হবার বেদনা ময় স্মৃতি মনে চলে আসে। ” এমন ভালবাসা আর অন্যান্য শক্তিশালি ইমো শনের অন্তর্জাত ভীতি নারি শেয়ার করেন না, সে জন্য এদের মধ্যে কমিউনি কেশন কষ্ট কর হয়।
৬। কথা বা কাজে বাধা পুরুষের অপছন্দ ।
অনেক নারি পুরুষের উপর কথা বলেন, নারী পুরুষের মতা মত চাইলেন তার সৎ উত্তর মনপুত হলনা তখন তিনি এর ব্যাখ্যা শোনার ফুরসত না দিয়ে নিজে আলাপের কতৃ ত্ব নিলেন। । নারি আর পুরুষ একে অপরকে বাধা না দিয়ে আলাপ হলে সবাই এতে সম্পৃক্ত হতে পারেন।
৭। অন্য কক্ষ থেকে পুরুষ আলাপে পটু না,
যেহেতু নারীরা মাল্টি টাস্ক করতে পটু তারা তাই অন্য কক্ষে আছেন এমন কারো সাথেও আলাপ চালাতে পারেন। পুরুষ এমন আলাপ খুব চেলেঞ্জিং মনে করে আর চোখে চখে দেখা দেখি ছাড়া আলাপে অর্থ খুজে পায়না। তাই পুরুষের সাথে অর্থবহ আলাপ করতে হলে নারী অপেক্ষা করবে যত ক্ষণ না এসে সামনে হাজির হয়।
৮। বেশির ভাগ পুরুষ গাল গল্প পছন্দ কত্রেনা।
সেলেব্রিটি জগতে কি চলছে স্ক্যান্দাল বা রসাল কিছু এতে পুরুষের আকর্ষণ কম। সহ কর্মী পাটিতে কি করল কার সাথে নতুন প্রেম এ নিয়ে তেমন মাথা ঘামায়না। বর্তমান জগত নিয়ে ভাবনা শুনতে ভাল বাসে , কি সবপ্ন কি সে উপরে উঠতে হয় এসব।
৯। নারী অনেক সময় থাকে সর্বত্র ।
স্ট্রেস সাম লান , এর পর এক টপিক থেকে অন্য টিতে লাফিয়ে পড়াঃ নারি এমন করে, পুরুষ এতে বিভ্রান্ত হয় কোনটার স্থে কোনটার সংযোগ বোঝা মুশকিল হয়। তাই একটি বিশ্বয় নিয়ে গঠন মুলক আলোচনা পুরুষের সাথে করলে তা হয় অনেক অর্থ পূর্ণ ।