১. প্রফেশনাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল থাকা উচিত
বন্ধু ফোন করে বুকে ব্যথা বলল ধুমধাম এসএমএস করে ওষুধ লিখে দিলেন, এটা ঠিক নয়। পুরোপুরি হিস্ট্রি, চেক আপ না করে আধা চিকিৎসা না দেয়াই ভালো। এতে শেষ পর্যন্ত কোয়ালিটি সার্ভিসও হয় না, সাথে কিছু দুর্নাম জোটে।
২. ফ্রি চিকিৎসাকে না বলুন।
★ফ্রি-তে দিলে আপনার যোগ্য মূল্যায়ন হলো না। আপনার এক্সপার্টাইজ, সময়ের দাম আছে।
★আপনার ফ্রি চিকিৎসা ফার্মেসিতে গিয়ে দোকানদার দিয়ে যাচাই করবে, অথবা অন্য কোথাও এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দেখাবে।
★ফ্রিতে দিলে দেখবেন প্রেস্ক্রিপশন কিছু ফলো করেছে, কিছু করেনি।
★ ফ্রি-তে হলে যখন তখন পরামর্শ চাইবে, নিজে ফ্রি নিবে সাথে বন্ধুবান্ধবকেও ফ্রিতে দেখতে বলবে
★ফ্রি চিকিৎসা দিতে হলে চেম্বারে একটা শিডিউল মতো আসতে বলবেন। বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজন এখানেই সরে যাবে।
৩. ইমারজেন্সি হলে
ইমারজেন্সি হলে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে যাবে। ফোনে জরুরি চিকিৎসা না দেয়াই ভালো। নিকটস্থ ডাক্তার বা হাসপাতালে দেখানোর পরামর্শ দেয়া উচিত।
৪. রেফার করার ক্ষেত্রে
★বন্ধুবান্ধবের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিন।
★যেচে পরামর্শ দেয়ার দরকার নেই, এদেশে দালালের লোভনীয় অবিশ্বাস্য অফার ও রেফারের মূল্যায়ন বেশি কিন্তু আপনি টু দ্য পয়েন্ট যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে রেফার করলে উল্টা সন্দেহ করে।
৫. প্রফেশন আর পারসোনাল লাইফ এক নয়
এ দুয়ের মাঝে দূরত্ব রাখা উচিত। ব্যক্তিগতভাবে কাছের হলেই আপনার বন্ধু যার মুদি দোকান আছে সে ফ্রিতে এক বস্তা চাল দিবে না। শোরুম থাকলেই ১০০% ছাড় দিবে না কারণ এটাই তার প্রফেশন, বিজনেস। একই ভাবে চিকিৎসা আপনার প্রফেশন, এটা করেই আপনি পরিবার চালান। প্রফেসন আর পারসোনাল লাইফের মধ্যে ব্যবধান রাখলে শুরুতে কয়েকজন মাইন্ড করবে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক অন্তত থাকবে।