ইন্সুলিন শক । হাইপোগ্লাইসিমিয়া ,।
গুরুতর হাইপোগ্লাইসিমিয়া বা ইনসুলিন শক হল ডায়াবেটিস রোগীদের হল একটি গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুকি।
একে ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া ও বলে
খুব বেশি ইনসুলিন
সিস্টেমে ইন্সুলিন ভারসাম্যে গরমিল হলে
যে পরিমান খাবার খাচ্ছেন
যে পরিমান শরীর চর্চা করছেন ।
ইন্সুলিন শকের উপসর্গ প্রথম মৃদু হলেও একে অবহে লা করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে তা না হলে হাইপো কাহিল করবে শরীর । হাইপো লক্ষন পরিবারে অন্যরা জানা উচিত।
হাইপো গ্লাইসি মিয়া।
লো ব্লাড সুগার । সাধারনত রক্তের গ্লুকোজ ৪ মিলি মোলের নিচে হলে হাইপো বলা যায় ।
দেহের কোষ শর্করা থেকে আসা গ্লুকোজ কে ব্যবহার করে শক্তি র জন্য।
ইনসুলিন হরমোন যা নিঃসৃত হয় অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে এর দরকার গ্লুকোজ কে কোষের ভেতর প্রবেশের জন্য। এতে রক্তে গ্লুকোজ সবাভাবিকের উপর উঠে না।
রক্তে গ্লুকজ মান সবাভাবিক থাকা জরুরি । (৭০-৯৯ মিলিগ্রাম / ডেসি লিটার ) বা ৩.৯-৫.৫ মিলিমল / লিটার । প্রাকটিক্যাল পারপাসে আমরা চাই খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজ যেন ৬.১ মিলি মোলের নিচে থাকে।
রক্তের গ্লুকোজ যদি উচুতে থাকে কিছু না করা হয় তাহলে ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয় চোখ , হার্ট , নার্ভাস সিস্টেম , কিডনি ।
সাধারন ভাবে ইন্সুলিন ক্ষরণ দেহে থাকে নিয়ন্ত্রিত যাতে রক্তের গ্লুকজ ঠিক রাখার জন্য যে পরিমাণ দরকার হয় সে পরিমান ক্ষরণ হয় । কিন্তু শরীর যদি ইন্সুলিন উৎপাদন না করে বা ক্ষরণ হলে ও শরীর একে কার্যকর ভাবে ব্যবহার না করতে পারে তাহলে হয় ইন্সুলিন ইনজেকশন লাগে বা দিতে হয় কিছু ওষুধ যা শরীরে ইন্সুলিন প্রাপ্তি বাড়ায় ।
আর যদি ইন্সুলিন ইন জেক শন নিতে হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে আর দেখতে হবে পরিমান মত ইন্সুলিন যেন নেওয়া হয়।
কি পরিমান কখন কি খাবেন তাও দেখা জরুরি । কি পরিমান শরীর চর্চা তাও দেখতে হবে। কারন আপনি সক্রিয় সচল থাকলে কোষ ইন্সুলিন বেশি ব্যবহার করে/। সিস্টেমে খুব বেশী ইনসুলিন থাকলে হয় হাইপো গ্লাইসিমিয়া। ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ কমাতে প্রচেষ্টা করে। ধরুন আপনি খেলেন না , প্রাতরাশ বাদ দিলেন, কোন ও মিল বাদ দিলেন বা কম খেলেন বা শরীর চর্চা বেশি করে দেহে গ্লুকজ দহন বাড়ালেন এতে রক্তে গ্লুকোজ মান বিপজ্জনক নিচু মানে চলে যেতে পারে।
কেন হতে পারে হাইপোগ্লাইসিমিয়া ? বা রক্তের গ্লুকজের নিম্ন মান?
১, সবাভাবিকের চেয়ে বেশি শরীর চর্চা করলে
২, কোন বেলার মিল বাদ দিলে
৩, যে পরিমান খান তা কমালে বা বদলালে
৪, ইন্সুলিন বা ওষুধ ভিন্ন মাত্রায় নিলে বা ভিন্ন সময় নিলে
৫,খাবার না খেয়ে প্রচুর মদ্য পান
হাইপো হলে সতর্ক সঙ্কেত হতে পারে মৃদু , মাঝারি , গুরুতর
১। মাথা ঝিম ঝিম
২। বিরক্তি ভাব
৩। মেজাজ বিগড়ানো
৪। ক্ষুধা
৫। গা হাত পা কাঁপা ।
৬। ঘাম
৭৭। দ্রুত হৃদ ঘাত।
যদি হাইপোগ্লাইসিমিয়া গুরুতর তাহলে
\১। মূর্ছা , অচেতন
২। খিচুনি
৩। সংজ্ঞা লোপ
৪। হত বুদ্ধি
৫। মাথা ধরা
৬। সমন্বয় সমস্যা।
ঘুমের মধ্যে হতে পারে হাইপোগ্লাইসিমিয়া
১। ঘুমের মধ্যে কেদে উঠা
২। রাতে দুঃস্বপ্ন
‘৩। ঘামে পায়জামা বা লুঙ্গি বা বেড শিট ভিজে যাওয়া
৪। ক্লান্ত , হত বিহবল বা বিরক্ত মনে জেগে উঠা ।
কি করবেন ?
যদি মনে করেন হাইপো মৃদু তাহলে পারলে রক্তের গ্লুকজ চেক করুন আর এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা ।
]’কিন্তু যদি গ্লুকোজ নান মাপতে পারেন তাহলে হাইপো র চিকিৎসা শুরু করুন/। উপসর্গ গুরুতর হলে জরুরি কেয়ারের জন্য ব্যবস্থা নিন।
যদি দেখেন হাইপো মৃদু বা মাঝারি তাহলে সব চেয়ে ভাল হল রক্তের গ্লুকজ দ্রুত বাড়ানো বা এমন কিছু পান করুন যাতে আছে ১৫-২০ গ্রাম গ্লুকজ বা অন্য সুগার। বা খেতে পারেন ৩/৪ গ্লুকজ ট্যাবলেট বা ১/৩ বা ১/২ টিউব গ্লুকজ জেল।বা আপনি পান করতে পারেন অর্ধেক কাপ ফলের রস। আপেল রস বা কম্ লার রস।
রক্তের গ্লুকজ বাড়াতে অন্য যে স্ন্যাক্স খেতে পারেন
১। ১/২ কাপ রেগুলার সোডা
২। এক কাপ দুধ
৩। এক টেবিল চামচ সুগার
৪। এক টেবিল চামচ মধু , গুড়
৫। ২ টি বড় বা ৪ টি ছোট সুগার কিউব পানিতে গুলে
৬। ৫ টি শক্ত ক্যান্ডি ।
স্ন্যাক্স খেয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা । এরপর দেখুন রক্তের গ্লুকোজ । এর পর ও নিচুতে থাকলে আবার খা স্ন্যাক্স আর ১৫ মিনিট পর আবার চেক করুন রক্তের গ্লুকজ। এভাবে স্ন্যাক্স খেয়ে দেখুন বাড়ে কিনা।
চেতনা হারালে দরকার জরুরি চিকিৎসা । কল করতে হবে ৯৯৯ বা ইমারজেন্সি রুম। পরিবারের সবাই ইন্সুলিন শক সম্বন্ধে জানতে হবে।
আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন কি করে গ্লুকাগন রেস্কিউ কিট ব্যবহার করতে হয় , পরিবারের সয়াবি শিখতে হবে। কেউ ইমারজেন্সি পৌঁছাবার আগে অচতন রোগীকে গ্লুকাগন ইনজেকশন দিলে সুফল হয়। গ্লুকাগন একটি হরমোন যা রক্তের গ্লুকজ বাড়ায়
পরিবারের সদস্যরা মাথা ঠাণ্ডা রেখে যেন একে মোকাবেলা করেন।