স্বাভাবিকভাবে হার্টবিট চলে ছন্দে ছন্দে (রিদমে)। কোন কারণে এ ছন্দপতন হলে একে বলে এরিদমিয়া। এই ছন্দপতনের অনেক রকমফের আছে, সব জানাবোঝা সহজ কাজ নয়। শুধু জানুন, অনেক রকম এরিদমিয়ার মধ্যে ‘এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন’ Atrial Fibrillation (Afib, AF) অন্যতম।
নাম শুনে কঠিন ও অজানা মনে হলেও এ রোগ কিন্তু একেবারে বিরল নয়। যাদের হার্টের অন্যান্য সমস্যা আছে যেমন: হার্ট ফেইলিউর, ভালভ ডিজিজ, এমনকি উচ্চ রক্তচাপ***তাদের হয় বেশি।
*** দিয়ে বললাম কারণ উচ্চ রক্তচাপ এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। বয়স্ক ব্যক্তি যার উচ্চ রক্তচাপ আছে তিনি আছেন এট্রিয়াল ফিব্রিলেশনের ঝুঁকিতে।
এছাড়া থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থেকেও হতে পারে এ ধরনের এরিদমিয়া। ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিসের সাথেও আছে সম্পর্ক। এ রোগের চিকিৎসায় তাই গুরুত্বের সাথে শরীরের অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও করা হয়। হয়তো দেখা যাবে থাইরয়েড হরমোন স্বাভাবিক হলে আর এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন হচ্ছে না।
চা, কফি, এলকোহলের ভূমিকা আছে হার্টবিটের সাথে। এসব গ্রহণ করলেও হতে পারে এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন। এ রোগ হলে পরে তাই এড়িয়ে চলতে হয় ক্যাফেইন, এলকোহল।
এ ধরনের এরিদমিয়া হলে রক্তজমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে। এ জমাট বাঁধা রক্ত ব্রেইনে চলে গিয়ে স্ট্রোক করতে পারে। রক্তজমাট বাঁধা ঠেকাতে তাই দেয়া হয় ওষুধ। এসব রোগীকে পরামর্শ দেয়া হয় যেন এমন কোন কাজ না করে যেখানে স্কিন কাটাছেঁড়া/রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। এমন হলে সহজে রক্তজমাট বাঁধবে না, অতিরিক্ত রক্তপাত থেকে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। তাই সাবধানের মার নাই, আর এমন পরিস্থিতি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বিলম্ব করা উচিত নয়। খুব ভালো হয় যদি ডাক্তার আগেই এমন পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে রোগীকে কাউন্সেলিং করেন।