ওজন কমাতে সবজি দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন। সুস্থ শরীরের প্রয়োজনেই খাওয়া-দাওয়ায় খানিকটা বিধিনিষেধ মানতে হয়। সত্যি বলতে কী, খাওয়া-দাওয়ায় অবরোধ আরোপ করলেই ওজনটা বশে থাকে। তবে এ জন্য কিছু খাবার খাদ্যতালিকা থেকে ছেঁটে ফেলতে হয় আর কিছু খাবার নতুন করে নিয়ে আসতে হয় খাদ্যতালিকায়। শীতের মৌসুমটা ডায়েট করার জন্য মোক্ষম একটা সময়। কারণ, বাজার ভরা থাকে শীতের সবজিতে। এর মধ্যে থেকে বাছাই করা সবজি দিয়ে একটা তালিকা করে নিতে পারেন।
এই সবজিগুলো দিয়েই আবার সুস্বাদু সব খাবার তৈরি করা যায়। শীতের সবজি দিয়ে কি ডায়েট করা সম্ভব? জানতে চেয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছে। তিনি বলেন ‘এখন বাজারে পাওয়া সবজিগুলোর কোনোটায় শর্করা বেশি আবার কোনোটায় আমিষ। আবার কিছু সবজি ভিটামিন আর খনিজে ভরপুর। তাই হিসাব করে সবজি বাছাই করে নিলে শরীরে জন্য ভালো। আর রন্ধনপ্রণািলতেও খানিকটা পরিবর্তন আনতে হবে। অতিরিক্ত ভোজ্যতেল ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।’
কেমন ধরনের সবজিকে প্রাধান্য দিতে হবে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। বাছাই করতে পারেন িশম, মটরশুঁটি, বরবটির মতো সবজিগুলো। এই সবজিগুলোতে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা এই সবজিগুলো দিয়েই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। এ ছাড়া এসব সবজির সঙ্গে ডালও খেতে পারেন। সকাল, দুপুর, রাত তিনবেলারই পুষ্টির চাহিদা মেটাবে খাবারগুলো। এ ছাড়া বাজারের টাটকা লাউশাক, মুলাশাক, সরষের শাকসহ অন্য শাকগুলোও খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এই শাকে থাকে প্রচুর আঁশ। এই খাদ্য আঁশ হজমকে যেমন ত্বরান্বিত করে, তেমনি শরীরেও বাড়তি মেদ জমতে বাধা দেয়।
ওজন কমাতে সকাল, দুপুর ও রাতের প্রধান খাবারে অল্প পরিমাণ ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে সবজি দিয়ে তৈরি খাবার তো খেতেই হবে। কিন্তু মধ্যদুপুর কিংবা সন্ধ্যায় কেমন হবে খাবার? সে সম্পর্কেও পরামর্শ দিলেন শামছুন্নাহার নাহিদ। তিনি বলেন, বাজারে পাওয়া সবজিগুলো দিয়েই ঘরে বানানো যেতে পারে পাকোড়া কিংবা চপ। নুডলসও খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে নুডলসে বেশি করে সবজি দিয়ে রান্না করুন। মুখে স্বাদের বৈচিত্র্য আনতে সবজি দিয়ে তৈরি মিক্সড সালাদে উদরপূর্তি করুন। এই খাবারগুলো শরীরের ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সুস্থতাও নিশ্চিত করবে।