আজকালকার বয়স্করা এখনকার তরুণদের মত এত স্মার্ট নন। একহাতে স্মার্ট ফোন অন্য হাতে কম্পিউটার মাউস এরকম জীবনে খুব অপ্তিচিত আমার মত প্রবীণ। আজকাল ছেলে বুড়ো সবাইকে কম্পিউটারে বসতে হয় অনেক সময়। কিভাবে কম্পিউটারের নানা অংশের অবস্থান ঠিক করতে হয়, কি রকম নিজের হবে দেহভঙ্গি, বসা, এসব ঠিক ঠাক থাকলে কম্পিউটারে কাজ করা হয় উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।
১। ঘরের লাইটিং
চোখে চাপ কমাতে কম্পিউটার যেন থাকে কম আলোতে। তাহলে কম্পিউটার থেকে আসা আলো চোখ ধাঁধায় না। কাগজপত্র, ডকুমেন্ট নিয়ে যদি কাজ করেন তাহলে রাখবেন টেবিল ল্যাম্প।পরীক্ষা করে দেখবেন কোন মারায় বা লেভেলে আলো হয় স্বস্তিকর।
২। কম্পিউটার চেয়ার
কম্পিউটারে বেশ কিছু সময় যদি কাটান তাহলে বিনিয়োগ করুন ভাল একটি চেয়ারে, হয় যেন আরামদায়ক আর ভাল থাকে ব্যাক সাপোর্ট।
এমন চেয়ার হবে যাতে বসলে ডেস্কের নিচে পা ভাল ভাবে আরামে রাখা যায়। যদি বাহু রাখার সাপোর্ট থাকে তাহলে দেখবেন ব্যবহার করতে গিয়ে কম্পিউটারের খুব নিকটে যেন চলে আসতে না হয়। একটা এড জাস্ট হয় এমন চেয়ার পেছন বাঁকানো যাতে নিচ কোমর ভাল সাপোর্ট পায়।
৩। ফুট সাপোর্ট
চোখ আর পিঠের খেয়াল নেয়া হল, এবার পায়ের দিকে নজর দিতে হবে। কম্পিউটারে বসলে পা যেন আরামে থাকে ভূমিতে। তা না হলে একটা ছোট পাদানি দিতে হবে।
৪। কম্পিউটার অবস্থান
স্ক্রিন ঠিক মত আছে কিনা বুঝতে হলে সিটে বসে পিছে হেলান দিন এরপর হাত দুটো সামনে বাড়ান, আপনি যদি স্ক্রিনের মাঝামাঝি ছুঁতে পারেন তাহলে স্ক্রিনের অবস্থান ঠিক আছে। চোখ আর উচ্চতা মাপে।
যদি স্ক্রিন দেখতে মাথা নোয়াতে হয় তাহলে স্ক্রিন অবস্থা ঠিক না। পুরানো সিআরটি স্ক্রিনের চেয়ে এলসিডি স্ক্রিন অনেক ভাল।
৫। কিবোর্ড অবস্থান
কিবোর্ড যেন সঠিক ভাবে অবস্থিত হয়। সঠিক ভাবে স্থাপিত কি বোর্ড থাকলে স্বাভাবিক দেহ ভঙ্গীতে টাইপিং করা সহজ । কিবোর্ড যেন কনুই উচ্চতা হয়। কবজি যদি ভাংতে হয় কোনাকোণি তাহলে উপর বাহুতে ক্লান্তি আসে। অনেক সময় হতে পারে এ থেকে কার্পাল টানেল সিনড্রোম। কেনার সময় কিনবেন আর্গোনমিক কিবোর্ড।
৬। মাউসের অবস্থান
কম্পিউটারে কাজ করে বেশি যে ইনজুরি দেখা গেছে গত ২০ বছর তা হল কার্পাল টানেল সিনড্রোম। এর কারন মাউসের ভুল অবস্থান আর কব্জির সাপোর্ট না থাকা। দেখতে হবে মাউস যেন থাকে সুস্থিত অবস্থানে কি বোর্ডের পাশাপাশি । আর হাত যেন থাকে নিউট্রাল অবস্থানে। মাউস প্যাড যেন হয় সিলিকন জেল প্যাড কব্জির জন্য। বা কিনতে পারেন ট্র্যাক বল মাউস এতে হাতের সঞ্চলন কম লাগে।
৭। ডকুমেন্ট অবস্থান
কাগজ পত্র , ডকুমেন্ট এসব নিয়ে কাজ করলে এদের স্ক্রিনের কাছাকাছি রাখতে চাইবেন। একটা ডকুমেন্ট হোল্ডার রাখেন যাতে এগুলো স্ক্রিন হাইটে থাকে । তাহলে ডকুমেন্ট দেখতে গিয়ে ঘাড়ে চাপ পড়বে না।
৮। বিরতি নিন
অনেকে আমার মত কম্পিউটারে বসলে সময় জ্ঞান থাকে না। গবেষকরা বলেন স্ক্রিনের দিকে অনেক সময় তাকানো ক্ষতিকর। প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট পর পর ২-৩ মিনিট বিরতি নেয়া উচিত।