বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মায়েরাই গর্ভাবস্থায় কর্মক্ষেত্রে যাওয়া অব্যাহত রাখেন। কারো যদি শারীরিক খুব বেশি সমস্যা না থাকে, তাহলে পুরো গর্ভকালীন সময়ে বাইরের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। তবে অনেক সময়, চিকিৎসক অনেক মায়েদের তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন,সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পূর্ণ বিশ্রামে থাকা উচিত।
নিচের কাজ গুলোর মাধ্যমে আপনি গর্ভাবস্থায় ও কর্মক্ষেত্রে “ফিট” থাকতে পারেন এবং ঝামেলা এড়িয়ে কর্মক্ষম থাকতে পারেন :
১) বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাগে পরিস্কার ফুটানো পানির বোতল সাথে নিবেন।যাতে করে পিপাসা পেলেই আপনি সুপেয় পানি পান করতে পারেন।
২) কাজের সময় অনেকেরই ঘন ঘন চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা থাকে,তবে এসময় চা-কফি যতটা সম্ভব কম পান করা উচিত।
৩) ব্যাগে স্বাস্থ্যকর হালকা নাস্তা রাখা যেতে পারে,যাতে করে খিদে পেলেই কিছু খেয়ে নেয়া যায়।
৪) বসে কাজ করার সময় পিছনে একটা বালিশ রাখলে পিঠব্যথা কম অনুভূত হবে,পিঠে ব্যথা হলে গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
৫) পায়ের কাছে একটা ছোট টুল বা মোড়া রাখলে পা রাখতে সুবিধে হয়।
৬)কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়া বা ওষুধ খাওয়ার কথা মনে রাখার জন্যে ফোনে রিমাইন্ডার সেট করে রাখতে পারেন।
৭) অফিসের প্রতিদিনের করণীয় কাজের কথা নোটবুকে টুকে রাখতে পারেন,এতে করে কোন কাজ করতে ভুলে যাবেন না
৮) একটানা দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করবেন না,কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রাম নিন।
৯) খুব বেশি টাইট পোষাক পরিধান না করাই ভালো,ঢিলেঢালা সুতির কাপড় ই সবচেয়ে আরামদায়ক।
১০) কর্মক্ষেত্রে অনেক সহকর্মীর ধূমপানের অভ্যাস থাকতে পারে,খেয়াল রাখবেন কোনভাবেই এই ধোঁয়া যেন আপনার নাকে না যায়।
১১) কোন কাজ নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিবেন না,কারণ এতে আপনার রক্তচাপ বেড়ে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
পর্যাপ্ত বিশ্রামের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন আপনার দায়িত্ব যেন মোটামুটি ঠিকভাবে পালন করতে পারেন। এতে করে আপনার সহকর্মীরা ও আপনার প্রতি বিরক্ত হবেন না এবং আপনাকে যথাসম্ভব সাহায্য করবেন।