কলা, কদলি এর অবিশ্বাস্য গুণাবলি
আমসত্ত্ব দুধে ফেলি, তাহাতে কদলী দলি,
সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে—
হাপুস হুপুস শব্দ চারিদিক নিস্তব্ধ,
পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।
কে লিখেছিলেন? সবাই জানেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আহারে কলা! চাপা কলা্, সবরি, বাংলা, মর্তমান। আরও কত!
মর্তমান কলা কী করে নাম হল? মারতাবান এই নাম থেকে। এই কলা মায়ানমারের মারতাবান থেকে এসেছিল এ দেশে।
রথ দেখা কলা বেচা, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। হঠাৎ করে বড় লোক। এর পর ধরাকে সরা জ্ঞান। কলা গাছ খুব অল্প সময়ে চিকন থেকে মোটা হয়ে যায় । সেজন্য আঙ্গুল ফুলে কলা গাছকে হটাত বড় লোক বোঝায়।
এবার স্বাস্থ্য হিত বলি। আমরা জানি কলা হল পটাসিয়াম আর ভিটামিনের উৎস। তবে এই সুপার ফ্রুট হতে পারে দাওয়াই।
১। কলা দেয় এনার্জি
কলাতে আছে নানান শর্করা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ আর সুক্রোজ । সে সঙ্গে সম্মানজনক পরিমানে আঁশ । তাই এ হল এনার্জি বোমা। দেখা গেছে ৯০ মিনিট ফিজিকেল ট্রেনিং-এর জন্য এনার্জির যোগান দিতে পারে দুটো কলা। তাই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এথলেটরা নিয়মিত কলা খান
২। বিষণ্ণতা দমাতে
গবেষণায় দেখা গেছে ক্লিনিকেল ডিপ্রেসন রোগীরা কল খেলে তাদের মুড উন্নত হয়। কলার মধ্যে আছে এমিনো এসিড ট্রিপটোফ্যান , এর মাধ্যমে আসে হরমোন মেলাটনিন আর নিউরো ট্রান্সমিটার সেরোটনিন যাদের মাধ্যমে শরীরে আসে শিথিলতা । ট্রিপ্টোফ্যান ঘুচায় দুশ্চিন্তা আর বিষণ্ণতা ,। রোধ করে মিগ্রেন, হৃদ স্প্যাজম দমাতেও পারে।
৩। মাসিকের সমস্যা লাঘব করে
কলায় কেবল ট্রিপ্টো ফ্যান ই নয় এতে আছে ভিটামিন বি ৬ যা গ্লুকজ মান সুস্থিতি তে কাজ করে। দুটো মিলে শান্ত করে দেহ মন মেজাজ করে ভাল আর লাঘব করে মাসিকের ব্যাথা, ।
৪। মগজের জন্য শক্তি
কলার পটাসিউয়াম আর গ্লুকজ দুটো মিলে মগজকে রাখে বলিয়ান আর মনোযোগ রাখে ঠিক ঠাক ।হে ছাত্র ছাত্রি সকালে একটি কলা এরপর বাড়বে মনোযোগ
৫। যাদের রক্তাল্পতা
কলাতে আছে লৌহ আর তাই রক্ত কণিকার হিমোগ্লোবিন সংশ্লেষে এর ভূমিকা আছেই।
৬। রক্তচাপের ব্যালান্স
কলাতে আছে পটাসিয়াম আর অল্প নুনের এক বিরল সম্মিলন। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে এর ভূমিকা।
৭। বুক জ্বলাকে শান্ত করে

৮। কোষ্ঠ পরিষ্কারে
সমস্যা হয়, অস্বস্তি হয় পেট খালাস না হলে। কলার আঁশ কোষ্ঠ সারাতে ভাল। সকালে একটি কলা বাওয়েল খালি হবে ।