কেগেল ব্যায়াম হল সহজ ব্যায়াম ঃ দৃঢ় ভাবে চেপে ধরা আর ছেড়ে দেওয়া যা শ্রোণিদেশের পেশিকে মজবুত করে । (muscles of pelvic floor) । আমাদের কটির (hips) মধ্যবর্তী যে স্থান আমাদের প্রজনন তন্ত্র ধারন করে শ্রোণি ।
নারী , পুরুষ উভয়েই করতে পারেন এই ব্যায়াম । অনেক কারনে শ্রোণি দেশের পেশি গুলো দুর্বল হয়ে যায় , যেমন গর্ভধারণ , সন্তান প্রসব , বয়স , ওজন বৃদ্ধি
শ্রোণি পেশী ধারণ করে আর অবলম্বন দেয় জরায়ু , মুত্রথলি আর বাওয়েল । এই পেশী গুলো দুর্বল হলে মূত্র আর মল ধারন ক্ষমতা কমে যায় , বৃদ্ধদের বড় সমস্যা ।
কিভাবে শ্রোণি পেশি সনাক্ত করবেন । নারীরা প্রস্রাব করার সময় মধ্যপথে প্রস্রাব বন্ধ করুন যে পেশি গুলো বন্ধ করতে লাগল সেটি শ্রোণি পেশি । তবে নিয়মিত তা করবেন না ।
আরেকটি সনাক্ত করার নিয়ম < মহিলা ঃ ১)মনে করুন গ্যাস নির্গত হওয়া ঠেকাচ্ছেন ২) মনে করুন যোনি চেপে ধরেছেন ।
পুরুষ ঃ ১) মনে করুন গ্যাস নির্গত হওয়া ঠেকাচ্ছেন ২) প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাব করা বন্ধ করলেন । (হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল )
পুরুষ রা মলদ্বার চেপে ধরলে যে পেশী গুলো জড়িত হয় সেগুলো শ্রোণি পেশি ।
কেগেল করার আগে সব সময় মুত্র থলি খালি করে নিতে হয় ।
কোনও পছন্দসই স্থানে বসুন বাঃ শুয়ে পড়ুন তারপর শ্রোণি পেশি গুলো চেপে ধরে থাকুন ৩-৫ সেকেন্ড আবার ছাড়ুন ৩-৫ সেকেন্ড । এভাবে ১০ বা র করুন । দিনে তিন বা র এরকম ১০ টি পুনরাবৃত্তি
উদর , পা আর নিতম্বের পেশি যেন শিথিল থাকে । এর পর আপনি যে কোনও স্থানে করতে পারবেন , কেউ বুঝবে না ।
ক্রমে ক্রমে সঙ্কোচন আর শিথিলায়ন সময় বাড়ান ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ।
পেশি নিয়ন্ত্রন ভাল হবে , মুত্র ধারন ক্ষমতা উন্নত হবে ।
কফ , কাশ হাঁচি , হাসা র পর মূত্র গড়িয়ে পড়লে অনিচ্ছায় , বা কোনও কিছু নিচ থেকে তোলার সময় প্রস্রাব চুয়ে পড়লে এরকম ঘটার আগে আগে দুই তিন টি কেগেল করলে তা ঠেকান যায় । প্রস্রাবের খুব তাগিদ , যেতেই হবে টয়লেটে এরকম হলে কেগেল করলে নিরাপদে যাওয়া যাবে টয়লেটে । পথে বিপদ হবেনা ।
মুলত প্রস্রাবের ইন কন টি নেন্স রোধে এটি খুব কার্যকর । মুত্র নিয়ন্ত্রনে অসমর্থ হলে এই ব্যায়াম জাদুর মত ফল দেয় ।