চুলপড়া কেমোথেরাপি একাকী নারী

কেমোথেরাপি পরবর্তী চুলপড়া

কেমোথেরাপির পর রোগীরা সবচেয়ে যে চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হন,তা হচ্ছে “চুল পড়া, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে আমরা বলি Alopecia। রোগীরা হঠাৎ খেয়াল করেন, আঁচড়ানো বা ধোয়ার সময় মুঠো ভর্তি চুল উঠে আসছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীকে আগেই কেমোথেরাপির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। বিশেষ করে “চুল-পড়া” নিয়ে রোগীদের আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত করে রাখা উচিত বলেই চিকিৎসকরা মনে করেন। রোগী যদি আগে থেকেই জানতে পারেন সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের মুখের গড়নের সাথে মানানসই রঙ এবং সাইজের পরচুলা কিনে রাখতে পারেন। কেউ কেউ আবার পাগড়ি বা স্কার্ফ পরতে পছন্দ করেন। মানসিক প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই আগে থেকেই চুল কেটে ছোট করে ফেলেন,যাতে করে চুল হারানোর কষ্ট আগে থেকেই কিছুটা কমে আসে।

চুল পড়া রোধ করার জন্যে বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রস্তাব করা হয়েছে;দু:খজনকভাবে, কোনটাই খুব বেশি কার্যকর হয়নি।তন্মধ্যে একটি হচ্ছে Scalp Hypothermia। এই পদ্ধতিতে কেমোথেরাপি চলাকালীন সময়ে মাথায় বরফের ব্যাগ বা অনুরুপ ঠান্ডা কিছু দেয়া হয় যাতে করে মাথার রক্ত প্রবাহ ধীরগতিতে হয় এবং কেমোথেরাপির ওষুধগুলো চুলের উপর কম প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে,এই পদ্ধতি কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কিছুটা কার্যকর প্রভাব রাখতে পেরেছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে,একই পরিমাণ কেমোথেরাপি না পাওয়ার দরুন শরীরের ওই অংশে ক্যান্সার কোষ পুনরায় উজ্জীবিত হতে পারে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করার পর কিছু রোগী মাথা ব্যথা ও অস্বাভাবিক শীতলতা অনুভব করেন বলেও জানা গেছে।

Dr Punam Palit MBBS BCS (Health)

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.