১৩ সপ্তাহ
এই সপ্তাহে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়ার কারণে চেহারায় গর্ভাবস্থার “দীপ্তি” আসে।রিলাক্সিন হরমোনের প্রভাবে শরীরের অস্থিসংযোগ আর লিগামেন্টগুলো গর্ভকালীন সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে আরো বেশি স্থিতিস্থাপক হতে শুরু করে।
এই সময় আপনি একটা ডায়েরি লিখতে পারেন,যেখানে আপনার গর্ভকালীন সময়ের সুন্দর স্মৃতি,ছবি সংরক্ষণ করা যাবে।পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম যেমন :হাঁটাহাঁটি কিংবা সাঁতার এসব করা যেতে পারে।
১৪ সপ্তাহ
এই সময় শরীরের শ্লেষ্মা ঝিল্লগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়ায় নাক থেকে রক্ত পড়া কিংবা হালকা মাথাব্যথা হতে পারে।সাথে আরো নতুন লক্ষণ হিসেবে যুক্ত হয় কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম।
এই অবস্থায় আগের আঁটসাঁট পোশাকের পরিবর্তে ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পছন্দ করেন বেশিরভাগ মা,তাই টুকটাক শপিং করতে যেতে পারেন।
১৫ সপ্তাহ :
এই সময় শারীরিক পরিবর্তনের জন্যে মায়েদের মনে মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়।তাই আশেপাশের সবাইকে তার পাশে থাকতে হবে।
দীপ্তিমান ত্বকের পাশাপাশি হরমোনের প্রভাবে চুল ও আগের চেয়ে সতেজ হয়ে উঠে,চুলপড়াও অনেকাংশে হ্রাস পায়।হাতের নখ আগের চেয়ে স্বাস্থ্যোজ্বল হয়ে উঠে।
এর মধ্যেও যদি ব্যায়াম করা না শুরু থাকেন,তাহলে ব্যায়াম করা শুরু করে দিন।পাশাপাশি আপনার জীবনসংগীর সাথে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনাও শুরু করতে পারেন।
১৬ সপ্তাহ :
গর্ভপাতের সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় এই সময়ে আপনার গর্ভাবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।ভ্রুণের ও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটে যার ফলে গর্ভাবস্থা সকলের নিকট দৃশ্যমান হয়।
চিকিৎসকের সাহায্যে আপনি এই সময় প্রথমবারের মত আপনার বাচ্চার হৃদস্পন্দন শুনতে পারেন।চেক-আপের সময় একটা মেশিন পেটে বসিয়ে শব্দ তরঙ্গ এর সাহায্যে সাধারণত এটা শোনা যায়।
মেলানিন নি:সরণ বৃদ্ধির কারণে ত্বকের রঙ এ সাময়িক পরিবর্তন ঘটে।শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন : গালে,ঘাড়ে এবং কপালে গাঢ় দাগের সৃষ্টি হয় যা Chlosma নামে পরিচিত।পাশাপাশি পেটে Linea Nigra নামে লম্বালম্বি একটা দাগের সৃষ্টি হয়,যা বাচ্চার জন্মের পরপর হালকা হয়ে যায় বা চলে যায়।
ডাক্তারের পরামর্শে সন্তানের জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা দেখার জন্য Anomaly Scan নামক পরীক্ষা করানো হয় এই সময়ে।রক্ত পরীক্ষায় রক্তশূন্যতা পাওয়া গেলে চিকিৎসক আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন।কন্টাক্ট লেন্স পরলে চোখ আগের চেয়ে বেশি শুষ্ক অনুভূত হয়,তাই চোখের ডাক্তারের পরামর্শে স্পেশাল ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।