একজন নারীর জীবনে গর্ভকাল বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই সময় নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নারীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। তাই বিভিন্ন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় যার মধ্যে ভাইরাল ইনফেকশন অন্যতম। বিভিন্ন ভাইরাল ইনফেকশনের মধ্যে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত অন্যতম।
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একধরনের ভাইরাল ইনফেকশন। সাধারনত মার্চ থেকে মে মাসে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। চিকেন পক্স এ আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসলে এই রোগ হয়। ১০ থেকে ২১ দিন সময় লাগে লক্ষণ প্রকাশ পেতে।
গর্ভাবস্থায় চিকেন পক্স হলে
গর্ভাবস্থায় চিকেন পক্স হলে সেটা মায়ের কাছ থেকে বাচ্চার কাছে যেতে পারে। সাধারণত নিউমোনিয়া সবচেয়ে বেশি মাতৃ মৃত্যুর কারণ। তাছাড়া ব্রেনের ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের প্রবণতাও বেড়ে যায়।
যদি বাচ্চাও আক্রান্ত হয় তাহলে congenial varicella syndrome নামক রোগ হতে পারে। এতে বাচ্চার হাত পায়ের অপূর্ণতা, মানসিক সমস্যা, চোখের সমস্যা, ছানি পড়া, গ্রোথ কমে হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
তবে আশার কথা গর্ভাবস্থায় ৫ মাস বা ২০ সপ্তাহের বেশি হলো এই সমস্যা হয় না।
চিকেন পক্স এ আক্রান্ত হলে PCR টেস্ট করে ডায়াগনোসিস করা যায়। যদিও ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিসই পর্যাপ্ত।
গর্ভাবস্থায় চিকেন পক্স হলে করণীয়
যদি গর্ভাবস্থায় চিকেন পক্স হয়ে যায় তাহলে মা কে টিকা দিতে হবে। এটা উপকারী। আর বাচ্চার জন্মের ৫ দিনের মধ্যে টিকা দিয়ে দিতে হবে। মুখে খাওয়ার ঔষধও আছে কার্যকরী এক্ষেত্রে। যদিও এটা congenial infection প্রতিরোধ করতে পারে না।
যেহেতু চিকেন পক্স ছোঁয়াছে তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শ থেকে গর্ভবতী নারীকে দূরে থাকতে হবে। এমনকি নিজে আক্রান্ত হলেও নিজেকে অন্যদোর থেকে আলাদা থাকতে হবে।
চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে মাকে চিকেন পক্স সাধারণ চিকিৎসা দিতে হবে যাতে। এ ক্ষেত্রে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিলে রোগী উপকৃত হবে।