জন্ডিস আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে খুবই কমন একটা রোগ। গর্ভাবস্থায়ও এটা হতে দেখা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের জন্ডিস হল সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে মা এবং বাচ্চার।
আমাদের দেশে সাধারণত হেপাটাইটিস ভাইরাসজনিত জন্ডিস বেশি।তবে গর্ভাবস্থায় হরমোনাল কারণেও হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যেহেতু শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি থাকে তাই পিত্তরস লিভার থেকে বের হতে পারে না। তাই বিলিরুবিন বেড়ে গিয়ে জন্ডিস দেখা যায়। এটা সাধারণত গর্ভাবস্থায় শেষ ৩ মাসে দেখা যায়।রোগীর শরীর হলুদ হওয়ার পাশাপাশি হাত পা চুলকানো হয়। সাথে বমি,দুর্বলতা আছে। তখন লিভার সংক্রান্ত জরুরি পরীক্ষগুলো করতে হবে একজন লিভার বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শে থাকতে হবে। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। সাধারণন বাচ্চা হওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে রোগীর সমস্যা কমে যায়।এই সমস্যা পরবর্তী প্রেগ্ন্যাসিতে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
হেপাটাইটিস ভাইরাসজনিত জন্ডিস বেশি আমাদের দেশে। তার মধ্যে Hepatitis A এবং hepatitis E অন্যতম। যেহেতু এগুলো খাবার পানীয় জলের মাধ্যমে ছড়ায়। আর Hepatitis B, C সাধারণ রক্ত বা ইঞ্জেকশন, বা সেক্সুয়ালি ছড়াতে পারে।Hepatitis হলে মার কাছ থেকে বাচ্চা ও আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিস এ সাধারণত রোগীর দুর্বলতা, বমি ভাব, বমি হতে পারে। জ্বর বা শরীর হলুদ হয়ে যাওয়া খুবই কম দেখা যায়।
Hepatitis এ আক্রান্ত হলে রোগীকে হেপাটাইটিস এর চিকিৎসা নিতে হবে। সাধারণত ডেলিভারির সময় রোগীর থেকে বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে। তাই ডেলিভারি হওয়ার পর বাচ্চাকে অবশ্যই শিশুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চাকে Hepatitis-এর টিকা এবং Antibody দুইটা দিতে হবে।
যদিও হেপাটাইটিস ভাইরাস কোনো টেরাটোজেনিক ভাইরাস না মানে বাচ্চার কোন শারীরিক বা মানসিক অপূরনতা তৈরি করে না।
প্রতিরোধ
গর্ভাবস্থায় চেকআপের সময় অবশ্যই রোগীকে Hepatitis আছে কিনা দেখতে হবে। যাতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া যায়।