গর্ভকাল নারী জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এইসময় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা আবশ্যক। কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে আমাদের দেশের বেশিরভাগ গর্ভবতী নারী নিয়মিত চেকআপে থাকেন এমনকি কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করান না। যার কারণে এখনো গর্ভকালীন অনেক ইমার্জেন্সিতে মায়ের অনেক সমস্যা হয় এমনকি মাতৃমৃত্যু বা শিশুমৃত্যু এড়াতে পারা যায় না।
গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা
১। রক্তের গ্রুপ
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে এখন বেশিরভাগ মা নিজের রক্তের গ্রুপ জানে না।তাই ১ম এই এই পরীক্ষা করতে হবে।আর রক্তের গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয় তাহলে মা এবং বাচ্চার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
২। CBC
এই পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের প্রধানত রক্তস্বল্পতা দেখা হয়। সাথে রক্তে কোনো ইনফেকশন থাকলে সেটাও দেখা যায়।
৩। Urine Routine examination
প্রস্রাবের পরীক্ষার মাধ্যমে কোনো ইনফেকশন থাকলে দেখা হয় যেটা গর্ভাবস্থায় খুবই কমন।
৪। Fasting Blood sugar and 2 hrs After Breakfast
বর্তমানে ডায়াবেটিস এর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এটা রুটিনলি সবাইকে করতে হয়।ডায়াবেটিক মায়ের আলাদা চিকিৎসা লাগে।শুধু তাই নয় নিয়মিত গাইনী এবং হরমোন চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা লাগবে।
৫। Ultrasonography of pregnancy profile
আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে বাচ্চার সম্পূরণ তথ্য পাওয়া যায়।গর্ভকালীন সময়ে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ৪ বার পরীক্ষা করতে হয়।USG করে মায়ের জরায়ু এবং গর্ভফুলের কোনো সমস্যা থাকলে সেটাও জানা যায়।
৬। HBsAg
হেপাটাইটিস বি এর প্রবণতা অনেক বেশি হওয়ায় এটা অবশ্যই করতে হবে।কারণ মায়ের কাছ থেকে বাচ্চার হতে পারে।
৭। VDRL test
এই পরীক্ষা করে মায়ের কোনো যৌনরোগ থাকলে সেটা জানা যাবে।কারণ বাচচা মায়পর কাছ থেকে আক্রান্ত হবে।
৮) Serum TSH
থাইরয়েড এর পরীক্ষা আজকাল রুটিনলি সব মায়েদের করতে দিতে হয়।থাইরয়েড এর সমস্যা থাকলে হরমোন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় মোটামুটিভাবে এই পরীক্ষাগুলো অবশ্যই করতে হয়। এর বাইরে কোনো সমস্যা থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী পরীক্ষা করতে হবে।