জরায়ুমুখের ক্যান্সার: একদম অপ্রতিরোধ্য নয়। ক্যান্সার শব্দটা শুনলে আমরা একটু নড়েচড়ে বসি। আধুনিক জীবনে এটা একটা আতংকের নাম। কিন্তু জরায়ুমুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে আমরা একটু আশাবাদী হতেই পারি।কারণটা জেনে নেই চলুন।
ক্যান্সার প্রবণতার দিক থেকে জরায়ুমুখের ক্যানসার ২য়। উপমহাদেশে এটার প্রবণতা আরো বেশি।
কারা আছেন ঝুঁকিতে?
১) অধিক সন্তান জন্মদান এবং সন্তান জন্মদানের মধ্যে পর্যাপ্ত বিরতি না থাকা
২) অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া বা যৌনজীবন শুরু করা
৩) অতি অল্প বয়সে প্রথম মা হওয়া
৪) একের অধিক সেক্সুয়াল পার্টনার থাকা
৫)নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থানের নারীরা
৬)যৌনবাহিত জীবাণু দিয়ে আক্রান্ত হওয়া মানে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের দায়ী জীবানু Human papillomavirus ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হওয়া
৭)জন্মবিরতি করণ পিল খাওয়া
এই সব কারণগুলো চিহ্নিত করা গেছে ইতোমধ্যে। সাধারণত ৩৮-৪৫ বছরের নারীরা আক্রান্ত হন।
ক্যানসার আক্রান্ত নারীরা সাধারণত কিছু সমস্যায় ভোগেন যেমন-
১) পিরিয়ডের মতন রক্তপাত হওয়া
২) স্বামীসহবাসের পর রক্তপাত হওয়া,ব্যাথা করা
৩) যদিও বেশিরভাগ রোগীর কোনো সমস্যাই দেখা যায় না প্রথমদিকে।
জরায়ুমুখের ক্যান্সারের প্রতিরোধের জন্য টিকার ব্যাবস্থা আছে যেটা ৯-২৫ বছরের মধ্যে নেয়াই উত্তম। টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন ক্যান্সারের মধ্যে এটিই প্রথম। টিকা খুবই সহজলভ্য বর্তমানে।
তাছাড়া ৩০ বছরের বেশি নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের জন্য VIA test নামক অতি সহজে করা যায় এমন স্ক্রিনিং পরীক্ষার ব্যাবস্থা আছে যেটা সব নারীর নিয়মিত বিরতিতে করা উচিত। সব সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।
আসুন টিকা গ্রহণ করা এবং VIA test করার জন্য নারীদের উৎসাহিত করে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের হাত থেকে নারীদের সুরক্ষা করি।