শীত শীত লাগে, হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগছে। শরীরে তাপ মান কমেছে, পেশি সংকুচিত আর শিথিল হচ্ছে তাপ উৎপন্ন করার জন্য।একটু কাঁপুনি আর হাতে পায়ে রোমহর্ষ হচ্ছে।
কারণ কী কী হতে পারে?
১। ইমোশন: এরকম হয়নি আপনাদের ? হয়েছে। কোন চমৎকার মিউজিক, না হয় গা ছম ছম হরর ছবি। শির শির অনুভূতি নেমে গেল শিরদাঁড়া বেঁয়ে। মগজ আর সংবেদী স্নায়ুতন্ত্র এদের ভূমিকা আছে।
২। সংক্রমণ: গা শির শির মানে একটি লাল পতাকা। হয়ত কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের আশু সম্ভাবনা। পিটস বারগ মেডিকেল সেন্টারের ডা. মিডলটন বলেন, দেহে অনুপ্রবেশকারী জীবাণু বা দেহ প্রতিরোধী কোষদের উৎসারিত রাসায়নিকের প্রভাবে হয় পেশি ঝাঁকানোর মত ব্যাপার। সি ডি সি বলেন শীত শীত লাগা আর শরীর বার বার ঝাঁকুনি হতে পারে কোভিড-১৯ এর একটি উপসর্গ । প্রথমে শীত শীত ভাব, এরপর জ্বর আর শরীরে ব্যথা। অবশ্য ভাইরাল লোড খুব বেশি হলে শিরশিরানি পরে হতে পারে।
৩। ম্যালেরিয়া: শিরশিরানি ম্যালেরিয়ার একটি প্রধান উপসর্গ। কেবল তা নয়, জ্বর, ঘাম, শরীর ব্যথা, মাথা ধরা, বমি।
৪। ওষুধের প্রতিক্রিয়া: এলার্জি রক্ত ভরণ, কেমোথেরাপি ও এন্টিবায়োটিক।
৫। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: যে কোন রোগ, যাতে শ্বেত কণিকার কাজকর্ম বেড়ে যায় শীত শীত অনুভব হতে পারে। যেমন: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত ও লুপাস।
৬।লাইমডিজিজ: একটি সংক্রমিত পরজীবী কীটের দংশনে সম্প্রসারিত এই রোগ এর উপসর্গ শিরশিরানি । শরীরে র্যাশ দেখতে তীরন্দাজের টার্গেটের মত, কেন্দ্রস্থল সাদা আর বাইরে লাল।
৭। ইনফেকশাস আর্থ্রাইটিস: গিঁটে খুব ব্যথা আর সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবীর কারণে।
৮। ক্যান্সার: কিছু ক্যান্সার যেমন লিম্ফোমা, লিউকেমিয়ায় হতে পারে শীত শীত ভাব।