আদতে ট্রেড মিল শরীর চর্চার জন্য তৈরি হয়নি। আজকাল অনেকেরই বাসায় আছে ট্রেড মিল। এক কালে জেল বন্দী দের উপর অত্যাচারের জন্য ব্যবহৃত হত এই যন্ত্র।
সেই রোম সাম্রাজ্যের গোড়ার কথা। আগে এর নাম ছিল ট্রেড হুইল। প্রথম শতকের শেষ দিকে। রোমানদের তখন রমরমা। অবশ্য তা শরীর চর্চা নয়,ভারি জিনিস তুলতে ব্যবহার করা হত। অসটাদশ শতকে কৃষকরা ব্যবহার করেন স্থবির মেশিন পত্র চালাতে। আঠারো শতকের শেষ দিকে ট্রেড মিল র ব্যবহার হয় গেরস্থালী কাজে। এরপর ট্রেড মিল ঢুকল জেলের কক্ষে।
১৮১৮ সালে ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম কুবিট তেমন ট্রেড মিলের উদ্ভাবন করলেন। এক সময় তা জেল বন্দী দের উপর অত্যাচার করার জন্য হল ব্যবহৃত। বন্দী দের এতে চাপিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা উৎপাদন শীল কাজ করতে লাগানো হত। কারাগারে ভুট্টা দানা পিষতে,জলের পাম্প চালাতে লাগে যে শক্তি তা আসত ট্রেড মিল থেকে। শক্তি উৎপন্ন করতে কাজে লাগানো হত জেলের কয়েদি দের।
ইতিহাস বলে আইরিশ কবি আর নাট্যকার অস্কার ওয়াইল্ড ট্রেড মিলের ঘানি টেনে ছিলেন। সমকামিতার অপরাধে ২ বছর জেল খাটার সময় তাকে শাস্তি হিসাবে ট্রেড মিল চালাতে হত। শাস্তি র শক তিনি খুব সহ্য করতে পারেন নি। ৪৬বছর বয়সে হয় তার মৃত্যু।
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রিজনার আইনে এই শাস্তি তুলে দেন ট্রেড মিলের আধুনিক রূপ এল ১৯৫২ সালে। আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ব বিদ্যালয়ের কার্ডিওলজিসট রবার্ট ব্রুস র গবেষণা স্মরনীয় সহকর্মী ওয়েন কুইন টনের সংগে মিলে হৃদ যন্ত্রের নানা রোগ ও পরিস্থিতি নিরুপনে কাজে লাগানো হল তাদের উদ্ভাবিত ট্রেড মিল।একে বলা হয় ব্রুস প্রটোকল। হার্টর কাজকর্ম সন্ধানে হচ্ছে এর ব্যবহার। ব্রুস কে কার্ডিও ব্যায়ামের জনক বলা হয়
গতশতকে ট্রেড মিলের রূপে গড়নে এল আরও পরিবর্তন ষাট সত্তর দশকে বিল স্টার ও কেনেথ কুপার প্রথম একে বাজারে ছাড়েন শরীর চর্চা র যন্ত্র হিসাবে। অনেকের ঘরে পৌছে গেল ট্রেড মিল এরোবিক ব্যায়ামের যন্ত্র হিসাবে। এর রূপ বদলে ভারি চেহারা ট্রেড মিল পেল নতুন ছিম ছাম চেহারা।