হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয়: লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

ডায়াবেটিস: সাধারণ কথা, সহজ বচন

একটি পাঠ সাধারণ পাঠকের জন্য আর তরুন দের জানার জন্য। এই মডেল কিছুটা শ্রেণী কক্ষে পাঠের মত। দুর শিক্ষন ।
আজ এমন এক রোগ নিয়ে বলব যা পৃথিবীতে মহামারি হয়ে আসছে আর আমাদের দেশে ও কম নয় । যা জানা গেছে তা হল এমন রোগী প্রায় এক কোটী তবে একটা কথা বলি পৃথিবী জুড়ে অর্ধেক মানুষ জানেন না তাদের আছে এ রোগ আমরা ও ব্যতিক্রম নই।
খাবার খেলেন
পেটে গেল
জীর্ণ হল তিন উপকরনে শর্করা , চর্বি আর আমিষ
পরিপাকের সময় শর্করা ভেঙ্গে হয় সুগার অন্তিম পর্যায়ে গ্লুকোজ
দ্রত জানা
শর্করা আছে চাল, গম, আলু পাস্টা, ফল , দুধ আর দধিতে
স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়ায় গ্লুকজ রক্তনালি দিয়ে যায় পেশিতে আর চর্বি কোষে
তবে গ্লুকোজ কোষে একটি বিশেষ হরমোন ইন্সুলিনের সাহায্য ছাড়া কোষে ঢুকতে পারেনা।
দুই ক্ষেত্রেই ফলাফল হবে একই ।
ইন্সুলিন উৎপন্ন হয় প্যাঙ্ক্রিয়াস নামে একটি দেহ যন্ত্র (অগ্ন্যাশয়) থেকে।
ইন্সুলিন কাজ করে চাবির মত। আর এটি পেশি আর চর্বি কোষের দরজা খুলে দেয়।
আর খোলা দরজা দিয়ে ঢোকে ইন্সুলিন
দেহের কোষ গুলো তখন গ্লুকোজ কে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে। আর এ থেকে আসে দেহের জন্য এনার্জি ।/
যখন এই কাজকর্ম ঠিক ঠাক চলে খাদ্য জীর্ণ হয়ে শেষে যে গ্লুকোজ হয় তা রক্ত দিয়ে সহজে ঢুকতে পারে পেশি আর চর্বি কোষের ভেতর ।
আর এমন চললে শরীর রক্তের গ্লুকজ মান নিয়ন্ত্রন করতে পারে ।
এখন একজন ডায়াবেটিস রোগীর কি হয় ?
গ্লুকজ রক্তে প্রবেশ করল কিন্তু দু একটা জিনিষ ঘটলো
হয়ত প্যাঙ্ক্রিয়াস যথেষ্ট ইন্সুলিন উৎপন্ন করলনা যাতে যে পরিমাণ গ্লুকজ রক্তে একে সামাল দেয়ার মত হলনা
বা ইন্সুলিন যা তৈরি হল এর প্রতি শরীর সাড়া দিলনা।
ইন্সুলিনের অভাবে কোষের দরজা থাকে বন্ধ তাই গ্লুকজ প্রবেশ না করতে পারে ফিরে এল রক্ত স্রোতে ফলে রক্তের গ্লুকজ মা গেল বেড়ে
এতে হতে পারে কয়েকটি সমস্যা।
গ্লুকজ দেহ কোষে না ঢুকতে পেরে শরীর প্রয়োজনীয় জ্বালানি পাবেনা তাই পাবেনা এনার্জি ।
তাই শরীরে হবে ক্লান্তি আর হবে শ্রান্তি ।
শরীর রক্তের এই বাড়তি গ্লুকজ সামাল দিতে চাইবে কিন্তু এতে দেহ কোষ থেকে তরল টেনে বের করে আনবে।
এতে হবে নিরুদন আর পাবে তৃষ্ণা
সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ যা তা হল কাল ক্রমে উচ্চ মাত্রার রক্ত গ্লুকজের সম্মুখিন শরীর দীর্ঘ দিন থাকলে দেহের প্রধান যন্ত্রের ক্ষতি হতে থাকবে যেমন চোখ , হার্ট , কিডনি আর স্নায়ু।
সঠিক ভাবে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করা না হলে
ক্রমে এ থেকে হবে গুরুতর জটিলতা ।
যেমন অন্ধত্ব
অঙ্গ চ্ছেদ
কিডনি বিকল
হার্ট এটাক
স্ট্রোক
এরকম জটিলতা এড়াতে হলে
যাদের ডায়াবেটিস তাদের রক্তের গ্লুকজকে রাখতে হবে নিয়ন্ত্রনে
একটি উপায় হল
ডায়েট । খাবারে বেলার খাবারে বা স্ন্যাক্সে শর্করার পরিমান কমিয়ে
রক্তে গ্লুকোজের প্রবেশ কমে আর এতে নিয়ন্ত্রন হতে পারে এর মান।
আর এতে যে পরিমান ইন্সুলিন সরবরাহ তা একে সামাল দিতে পারে।
হাই সুগার খাবার যেমন
কেক
পাই
চকোলেট ক্যন্ডি
সুগার
কোমল পানীয়
এসব খাবার খুব কম বা না খেলে হয়,
আরেকটি উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম।
শরীর চর্চায় পেশি বা চর্বি কোষ ইন্সুলিনের প্রতি অনেক সং বেদি হয়ে উঠে ।
তাহলে পেশি আর চর্বি কোষের দুর্গ ছিল বন্ধ এবার খুলবে
আর শেষে ডাক্তার দিতে পারেন একে নিয়ন্ত্রনের জন্য মুখে খাবার ওষুধ ।
যাতে ইন্সুলিন সরবরাহ বাড়ে যাতে রক্তে যে পরিমান গ্লুকজ ঢোকে তা সামাল দেয়া যায় । দেহে যে ইন্সুলিন হচ্ছে দেহ কোষ যেন এর প্রতি বেশি সাড়া দেয়।
কিছু ক্ষেত্রে দরকার হতে পারে ইন্সুলিন শট। মানে ইন্সুলিন ইঞ্জেকশন।
তাহলে আমরা কি বললাম
ডায়াবেটিস কি এ এমন এক অবস্থা যখন
—শরীর পর্যাপ্ত ইন্সুলিন তৈরি করেনা
—যে ইন্সুলিন তৈরি হয় দেহ কোষ এতে যথেষ্ট সাড়া দেয়না
তাহলে রক্তে গ্লুকজ বারে আর নিয়ন্ত্রন না করা হলে কি কি হয় জটিলতা
ক্লান্তি
অবসাদ
পানি শুন্যতা
প্রধান প্রধান যন্ত্রের ক্ষতি
সব শেষে আমরা আলোচনা করলাম কি করে একে সামাল দেওয়া যায়
ডায়েট
ব্যায়াম
ওষুধ
পুন শেষে একটি তথ্য দেই । আমাদের দেশে ডায়াবেটিস নিয়ে প্রথম ভেবেছেন জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তিনি ডায়াবেটিস সমিতি প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন আর এরপর প্রতিষ্ঠা করেন শাহবাগে সেই বিশাল প্রতিষ্ঠান বারডেম । আর সে জন্য জমি পেয়েছিলেন কার কাছে থেকে ? কারো জানা আছে ? আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আর একটি কথা । তিনি ডায়াবেটিস সামাল দিতে তিনি তিনটি সুবর্ণ উপায়ের কথা বলেছেন । তিনটি ডি । ডায়েট । ড্রাগ আর ডি সিপ্লিন। আর এই উপায় সারা বিশ্বে স্বীকৃত উপায় হিসাবে পরিগনিত ।
তিনি বলেছেন , ” ডায়াবেটিস রোগীর অর্থের সংস্থান নাই থাক সে হোক গরীব কিন্তু বারডেম থেকে চিকিৎসা না পেয়ে যাবেনা । ”
আরও জানতে হলে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন আর পড়তে পারেন
বই ডায়াবেটিস ও সুস্থ জীবন আমার লেখা বের করেছেন প্রথমা

Prof Dr Subhagata Choudhury

Ex Principal Chittagong Medical College
Ex Dean Medicine, Chittagong University
Ex Director, Lab Service, BIRDEM

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.