নখকুনি কেন হয়: লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

নখকুনি কেন হয়: লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

আমরা সবাই Ingrown Toenail, যাকে প্রচলিত কথায় বলা হয় “নখকুনি” র সাথে পরিচিত। পায়ের (অথবা হাতের) নখের কোন একটা অংশ যখন তীক্ষ্ণ ও বর্ধিত হয়ে পায়ের (অথবা হাতের) আংগুলের মাংসপেশীতে গেঁথে যায়,তখন তাকে নখকুনি বলে। হাতের বা পায়ের যে কোন নখ এই অবস্থায় আক্রান্ত হতে পারে তবে পায়ের বুড়ো আংগুলেই এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। সময়মত চিকিৎসা না নিলে এটি থেকে চামড়া ও আশেপাশের হাড়ের মারাত্নক ইনফেকশান দেখা দিতে পারে।

নখকুনি কেন হয়

• পায়ের চেয়ে ছোট সাইজের জুতো পরলে

• ভুল পদ্ধতিতে নখ কাটলে

• আংগুলের হাড়ে কোন সমস্যা থাকলে

• পায়ে কোন আঘাত পেলে

• বয়স্ক ব্যক্তি বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস কিংবা যাদের পায়ের রক্তনালীতে রক্ত চলাচলের কোন সমস্যা থাকে তাঁদের এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার খুব বেশি থাকে।

• এছাড়াও কমবয়সীরাও প্রায়ই ছোট সাইজের জুতো পরার কারণে এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। বয়স্ক ব্যক্তিদের বয়সের সাথে সাথে নখের ঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে “নখকুনি” হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

লক্ষণ

এই সমস্যায় নখের আশপাশ শক্ত হয়ে ফুলে যায়।লাল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানে প্রচন্ড ব্যথা হয়। নখ বাঁকা ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে মাংসপেশীতে ঢুকে যাওয়ার দরুন অনেক সময় ওই স্থানে ইনফেকশান হয় এবং আক্রান্ত স্থান থেকে পুঁজ বের হতে পারে।

নখকুনির চিকিৎসা

চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করেন এবং যদি ইনফেকশানজনিত পুঁজের উপস্থিতি থাকে তাহলে সেটি সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে কোন ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশান তা বের করেন। মৃদু সংক্রমনের ক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম সাবান পানিতে পা ডুবিয়ে রাখা যায়। নখের অতিরিক্ত অংশের মধ্যে তুলো দিয়ে রাখা যায় যাতে তা আংগুলের সংস্পর্শে না আসে। সংক্রমণ বেশি হলে চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেন।ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে নখ কাটা,পা নিয়মিত পরিস্কার রাখতে বলা হয়। কারণ এই রোগীদের ক্ষেত্রে সামান্য ক্ষত ও মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে। বারবার সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নখের ওই আক্রান্ত অংশটুকু ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেন।

নখকুনি সমস্যা এড়াতে যা করা যেতে পারে

১)পরিস্কার মোজা এবং আংগুলখোলা জুতো পরার অভ্যাস করুন

২) নিয়মিত পা পরিস্কার করুন,বিশেষ করে নখ এবং নখের আশপাশের অংশ ভালোভাবে পরিস্কার করুন

৩)যদি পা ফোলা বা ব্যথার পাশাপাশি জ্বর থাকে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪)খুব বেশি টাইট বা পায়ের চেয়ে খুব বেশি বড় জুতা পরিহার করুন

৫)কোন তীক্ষ্ণ অংশ না রেখে সঠিক নিয়মে নখ কাটুন।খেয়াল রাখবেন,খুব বেশি ছোট করে যেন না কাটা হয়। নিজে না পারলে এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিন।

৬)পায়ের নখ কখনোই জোর করে ছিঁড়ে বা উপড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না

Dr Punam Palit MBBS BCS (Health)

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.