নজর করুন ইনসুলিন রেজিসটেন্স এর লক্ষণ ।
আপনারা জানেন ইনসুলিন একটি হরমোন নিঃসৃত হয় দেহের অঙ্গ অগ্ন্যাশয় বা প্যাঙ্ক্রিয়াস থেকে। এর ঘাটতি হলে রক্তের গ্লুকোজের হয় টাল মা টাল অবস্থা, বেড়ে যায় রক্তে আর বেশি বাড়লে প্রস্রাবে যায় আমরা একে ডায়াবেটিস ববলে জানি।
ইন্সুলিন কাজ করে চাবির মত। কোষের দ্বার রক্ষীর মত কোষের দরজার তালা খুলে দেয় আর রক্তের গ্লুকোজ ঢুকে যায় কোষে সেখানে হয় এর দহন আর তৈরি হয় শক্তি আমাদের কাজ করার শক্তি। কখন কখন এই তালা চাবি কাজ করেনা , ইনসুলিন তৈরি হলেও কাজ হয়না আর রক্তে জমতে থাকে গ্লুকোজ । কোষ কেন সাড়া দেয়না ইন্সুলিনের প্রতি এ নিয়ে অনেক ধারনা এখনো শতভাগ আমরা জানিনা কার্যকারণ কি
এমন উপসর্গ দেখা যায়না ,অনেক দিন আবার অবস্থা গুরুতর হলে ঘাড়ে কনুই , হাত , হাঁটু বগলে দেখা যায় কালো ছোপ ছোপ দাগ।
ইনসুলিন রেজিসটেন্স হয় বেশি যারা স্থুল , যারা ব্যায়াম করেন না, যারা ধুম পান করেন আর যাদের আছে উচ্চ রক্ত চাপ।
আমাদের রক্তের কিছু জিনিষের মান অনেক সময় এই অবস্থার কারন হতে পারে যেমন আমাদের রক্তে ভাল কোলেস্টেরল এইচ ডি এল এর মান কম লে, , রক্তে ট্রাই গ্লিসারাইড নামে এক ধরনের ফ্যাট বেড়ে গেলে
হৃদ রোগ থাকলে , স্ট্রোক হয়ে থাকলে , রক্ত নালির রোগ থাকলে।
পারিবারিক ইতিহাস কম গুরুত্ব পূর্ণ নয়। আফ্রিকান/ আমেরিকান, হিস্পানিক ল্যাটিনো , এশিয়ান আমেরিকান / প্যাসিফিক দ্বীপের বাসীরা
এদের ঝুকি বেশি
উপবাসী রক্তের নমুনা আর আহারের দু ঘণ্টা ্পর নমুনাতে গ্লুকোজ মান দেখতে হবে আর দেখতে হবে এইচ বি এ ১ সি বিগত তিন মাসের গ্লুকজের গড় মান।
ইতিমধ্যে অগ্ন্যাশয় ইন্সুলিন ক্ষরণ করে রক্তের গ্লুকোজ ঠিক করতে করতে ক্লান্ত ক্ষান্ত হয় , ক্রমে যে কোষ গুলো ইন্সুলিন ক্ষরণ করে এরা
ভারাক্রান্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায় আর আমরা দেখি টাইপ ২ ধরণের
ডায়াবেটিস । আগে ভাগে ধরতে পারলে আর জীবন যাত্রায় বদল আনতে পারলে একে ধীর রা যায় ।
সেজন্য চিনি মিষ্টি , ফ্যাট , মিলের চাল গম না খেয়ে বা খুব কমিয়ে খাতে হবে ফল সবজি লাল চাল, লাল আটা , । আহারের এমন প্লান করলে শরীরের ওজন থাকবে ঠিক ।নুন খাবেন কম।
আর চাই শরীর চর্চা , জোরে হাঁটা , স্কিপিং , সাইকেল চালানো , জগিং , ভার উত্তোলন সাঁতার । প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা যাতে হার্ট দ্রুতও স্পন্দন করে , শ্বাস ক্রিয়া হার বাড়ে ।ব্যায়াম করলে পেশি ইন্সুলিন ব্যবহার করে ভাল।
জীবন যাত্রায় পরিবর্তন হল বড় পন্থা তবে প্রয়োজনে ডাক্তার দেবেন ওষুধ ।
ইনসুলিন রেজিসটেনস হতে পারে আর একটি রোগ সমষ্টির অংশ , একে বলে মেটাবলিক সিনড্রোম ।
যাদের মেটাবলিক সিনড্রোম থেকে এদের এদের মধ্যে অন্তত তিন টি
বৈ শিষঠ থাকে ঃ কোমরের বড় বেড় , রক্তে বেশি ট্রাইগ্লিসারাইড ,
রক্তে কম মান ভাল কোলেস্টেরল (এইচ ডি এল) , উচ্চ রক্ত চাপ, আর রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্লুকোজ । এমন থাকলে ডায়াবেটিস , হৃদ রোগ আর স্ট্রোকেরঝুকি বাড়ে ।
ইনসুলিন রেজিসটেন্স থাকলে আরও থাকতে পারে রোগ যেমন শরীরে প্রদাহ রোগ , রক্ত নালী রোগ রক্তে ক্ল ট জমার প্রবণতা । কিডনি রোগ , লিভারের রোগ ।