নবজাতক শিশুকে গোসল করানো বেশ কষ্টসাধ্য এবং চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে নিয়মিত গোসল করালে শিশু ধীরে ধীরে এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠে এবং উপভোগ করতেও শুরু করে।
প্রথম দিকে শিশুকে প্লাস্টিকের বাথটাবে গোসল করাতে পারেন।
প্রতিদিন পুরোপুরি গোসল করানোর দরকার নেই, মাঝে মাঝে মাথা ধুয়ে গা মুছিয়ে দেয়া যায়। এসময় শিশু মোচড়াতে পারে,আতংকিত না হয়ে শান্তভাবে তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করুন। নাভি ঝরে না যাওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি গোসল না করানোই ভালো।
আগে কলের পানি ছেড়ে এরপর শিশুকে পানিতে নামান,কারণ অনেক সময় কল দিয়ে গরম পানি আসতে পারে। পানির তাপমাথা যেন কখনোই ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি না হয়। এসময় এক মুহুর্তের জন্যেও শিশুকে একা রাখবেন না।
চেষ্টা করবেন সব কিছু যেমন : টাওয়াল, বেবি শ্যাম্পু, বেবি লোশান হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে। প্রথমে শিশুর পায়ের পাতা পানিতে ডোবান, এক হাত দিয়ে মাথা এবং ঘাড়কে সাপোর্ট দিন। আলতো হাতে বাচ্চার শরীর ঘষতে থাকুন, পাশাপাশি হালকা উষ্ণ পানি ঢালতে থাকুন, এতে শিশু আরাম বোধ করবে।
শিশুর মুখে কোন ময়লা থাকলে তা নরম পরিস্কার কাপড় দিয়ে চেপে তুলে আনুন, কখনোই জোরে জোরে ঘষবেন না। শিশুর হাত, পা, ঘাড়,কানের পেছন এবং আংগুলের ফাঁকে পরিষ্কার করার জন্যে খুব মৃদু ধরনের কোন বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। শেষের দিকে তাকে হালকা বাঁকিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিন এবং পিছনের অংশ পরিস্কার করুন। চুল ধোয়ার জন্যে কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। নরম তুলা দিয়ে নাভির আশেপাশে মুছে দিন।
গোসলের পর হালকাভাবে চেপে মুছে দিন এবং খুব সাবধানে বাচ্চাকে তুলে আনুন কারণ এই ধরনের শিশুর ত্বক বেশ পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এরপর নরম তোয়ালে দিয়ে শিশুর মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখুন আর সামান্য লোশান দিয়ে দিন। গোসলের পর শিশুকে শুকনো তোয়ালেতে খেলতে দিন,এতে করে সময় টা তার জন্যে উপভোগ্য হবে। এরপর জামা পরিয়ে,কম্বলে মুড়িয়ে নিন আর শিশুর স্বর্গীয়, সুবাসিত স্পর্শ অনুভব করুন।