Epistaxis অর্থ হলো নাক থেকে রক্তক্ষরণ। রক্ত ক্ষরিত হয়ে নাকের মাধ্যমে বাহিরে চলে আসতে পারে কিংবা পেটের মধ্যে গিয়ে বমি বা বমিভাবের উদ্রেক করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাকের রক্তক্ষরণ সাধারণ চিকিৎসাতে ভালো হয়ে যায় তবে কিছুক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে এবং কোন জটিল রোগীর আগমনী বার্তাও হতে পারে।
হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করবেন?
আমাদের দেশে একটা ভুল ধারণা আছে নাক থেকে রক্তপাত হলেই মনে করে উচ্চ রক্তচাপ সেটা অনেকাংশেই সঠিক নয়।
নাক থেকে রক্তপরার কারন:
- নাক খুটানোর ফলে
- নাকে ভারী আঘাতের কারণে
- কোন বস্ত নাকে প্রবেশ করলে(বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের)
- সর্দিতে ভুগলে
- যেসব রক্তরোগের কারণে রক্ত জমাট বাধতে পারেনা,যেমন হিমোফিলিয়া, লিউকেমিয়া ইত্যাদি
- যেসব ঔষধ রক্তজমাট বাধতে বাধা দেয়, যেমন- এসপিরিন,ক্লোপিডগরেল ইত্যাদি।
- নাকের ভেতরের কোন টিউমার বা ক্যান্সার
- বেশি উচু স্থানে ভ্রমণে গেলে হতে পারে।
নাক থেকে রক্তক্ষরণে প্রাথমিকভাবে করণীয়:
- আতংকিতে না হয়ে শান্ত হিতে হবে
- মেরুদন্ড সোজা করে মাথা সামান্য সামনের দিকে ঝুকিয়ে বসবে
- মুখ দিয়ে শ্বাস নিবে
- টিস্যু কিংবা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রক্ত মুছে নাকের নরম অংশে বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনী দিয়ে কমপক্ষে ৫ মিনিট চেপে ধরে রাখবে।
- নাকের গোড়ায় এবং শক্ত অংশের উপরে বরফ দেওয়া যেতে পারে এতে রক্ত দ্রুত বন্ধ হতে সাহায্য করবে।
- ৫মিনিট পরেও রক্ত বন্ধ না হলে ১০ মিনিট পর্যন্ত নাচ চেপে ধরে রাখতে হবে। যদি এরপরেও বন্ধ না হয় দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।
- রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর ঝুকে কোন কাজ করা যাবেনা,ভারী কোন বস্তু উত্তোলন করা যাবেনা।
নাক থেকে রক্ত বের হলে যেসব পরীক্ষা করা উচিত:
সাধারণত এক্স রে, ক্ষেত্রবিশেষে সিটি স্ক্যান কিংবা রক্তের কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
নাক থেকে রক্ত পরার চিকিৎসা
রক্তপাত হলেই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। রক্তপাতের মূল কারণ খুজে বের করা জরুরি। বিভিন্ন উপায়ে রক্তপাত বন্ধ করা হয় যেমনঃ
- ন্যাজাল প্যাক
- Electrocautery
- যদি কোন বস্তু নাকের ভেতর থাকে সেটার অপসারণ করা লাগে
- রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করার বিভিন্ন ঔষধ দিয়েও চিকিৎসা করা যেতে পারে।
সুতরাং নাক থেকে রক্তপাত হলেই আমাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।