পোলিও ভাইরাস ধনী দেশ নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে শনাক্ত। মানে? কী করে পোলিও নির্মূল হবে এই গ্রহ থেকে? সনাক্ত পয়ঃ প্রণালীতে। দুর্ভাগ্যবশত হয়েছে প্যারালাইটিক পোলিও। জনগোষ্ঠীতে সম্প্রচারিত হচ্ছে আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিবিধান করছেন। পোলিও ভাইরাস সম্প্রচার রোধ আর সারভেলেন্স চালু করছেন যাতে উচ্চ ঝুঁকি লোকদের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা যায়।
পোলিও নির্মূল প্রচেষ্টা অনেকটা পৃথিবীর দুটো ভাণ্ডারের ওপর নির্ভরশীল: পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। লন্ডন ও নিউইয়র্কের এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে পোলিও যেকোন দেশে আবার আবির্ভূত হতে পারে যদি না পোলিও সারা পৃথিবী থেকে নির্মূল না হয়। আর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থাকবে উচ্চমাত্রার নজরে যখন বৈশ্বিক নির্মূলের কথা উঠে।

বিশ্ব জুড়ে তা নির্মূল কিন্তু তবু এর আবির্ভাব ঘটছে নানা দেশে। পাকিস্তানে পোলিও রোগী অল্প আর বিশেষ ভৌগোলিক এলাকায়, আর আফগানিস্তানে এখন পোলিও টিকা জোরদার করা হচ্ছে। এই অগ্রগতি হলেও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে কিছু স্থানে হচ্ছে পোলিও। এই সম্প্রচার একেবারে বন্ধ না হলে এরকম পোলিওর আবির্ভাব হতে থাকবে।
২০২১-২ আমরা পোলিও দেখছি দক্ষিণ আফ্রিকায়। এখন হচ্ছে নিউইয়র্কে ও লন্ডনে। এর মানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিওর জোরাল ভিত্তি উপড়ে ফেলতে হবে। এর সম্প্রচার রোধ না হলে পোলিও পৃথিবীর নানা অঞ্চলে আবির্ভূত হতে থাকবে।
তাহলে কী করে গ্রহ থেকে পোলিও ভাইরাস হবে নির্মূল?
প্রয়োজন রাজনৈতিক ও সামাজিক অংগীকার ও ইচ্ছা। আমরা জানি কী করে নির্মূল করা যাবে। এর বায়োলজিক্যাল ও প্রযুক্তিগত কৌশল প্রমাণসিদ্ধ। প্রশ্ন হল এর জোরাল বাস্তবায়ন।
তবে জি ৭, ৮, ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেম্বলি, কমন ওয়েলথ দেশগুলো এর সাম্প্রতিক সুযোগ অনুধাবন করছেন। তবে এমন সুযোগ সব সময় থাকবেনা আর তাই এর বাস্তবায়ন করা চাই দ্রুত, স্মার্টভাবে আর কার্যকরভাবে।
রোটারি এতে সহায়তা করছেন। সফলতা মানে একটি শিশু পোলিও হয়ে প্যারালাইসড হবে না আর সফলনা হলে লক্ষ লক্ষ শিশু পোলিওতে হবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। সফল না হবার কারণ হবে সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অভাব।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা