সাধারণভাবে পক্স নামে পরিচিত চিকেন পক্স বা জলবসন্ত গরমকালে বেশি দেখা যায়। সব বয়সীরা আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকলেও শিশুদের মধ্যে প্রকোপ একটু বেশি দেখা যায়। ভেরিসেলা জোস্টার নামক ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়।
পক্স হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
পক্স খুবই সংক্রামক। একজন থেকে আরেকজনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
- শুরুতে একটু দুইটি ফোসকা পড়ে
- প্রচণ্ড চুলকানি হয়
- সাথে জ্বর থাকতে পারে, ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে
- ফোসকা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে অনেকের
- কয়েকদিনের মাথায় ফোসকা শুকিয়ে মরা চামড়া উঠে আসে
- আক্রান্ত স্থানে দাগ হয় অনেকের যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে
- ভাইরাস জ্বরের অন্যান্য লক্ষণ সাথে থাকে, যেমন গা মেজমেজ করা, গায়ে ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি
কতদিনে ভালো হয়?
দিন কয়েক থেকে সপ্তাহ খানেক লাগে সেরে উঠতে। শিশুরা এ ভাইরাস থেকে অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারেন তাই প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
পক্স আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কি পক্স হতে পারে?
এ ভাইরাস খুবই ছোঁয়াচে।
- ফোসকার ভেতরের তরল পদার্থের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে পক্স
- বাতাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে
- আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়, হাঁচি, কাশি থেকে অন্যরা আক্রান্ত হন সাধারণত
পক্সের চিকিৎসা কী?
- লক্ষণ, উপসর্গ কমানোর জন্য চিকিৎসা দেয়া হয়। জটিলতার উপর নির্ভর করে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নিবেন কী করণীয়।
চিকেন পক্সের টিকা
- চিকেন পক্সের টিকা বা ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। শিশুদের জন্য।
- আমার আগে পক্স হয়েছে আর কি টিকা দেয়ার দরকার আছে? উত্তর হলো, না, প্রয়োজন নেই।
পক্স চিকিৎসায় পাশাপাশি করণীয়
- রোগীকে পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করুন এ কয়েকদিন। ফোসকা শুকিয়ে পুরোপুরি উঠে গেলে আবার আগের মত একসাথে থাকতে পারবে। তখন আর পক্স ছোঁয়াচে নয়।
- সংক্রমণ এড়াতে পক্স রোগীর ব্যবহৃত কাপড়চোপড় আলাদা রাখুন
- শিশুরা জ্বর ও অন্যান্য লক্ষণের জন্য খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, রুচি কমে যায়। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করুন।
- খাবার দাবারে কোন বিধিনিষেধ নেই।
পক্সে কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে?
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন কোন জটিলতা দেখা যায় না এবং রোগী পুরোপুরি সেরে উঠে। শিশুরা এবং গর্ভবতী মায়েরা পক্সের জটিলতার ঝুঁকিতে থাকেন। ত্বকের দাগ, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, কিডনি ও ব্রেইনে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে।