উচ্চ রক্তচাপ এখনকার জীবনে একটা খুবই পরিচিত ব্যাপার।সাধারণত কমবেশি সবার পরিবারে এই সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু প্রেগন্যান্সিতে এই সমস্যা আলাদা গুরুত্ব বহন করে। প্রেগন্যান্সিতে যদি প্রথমবারের মতন এই সমস্যা দেখা তাহলে এটাকে জেসটেশনাল হাইপারটেনশনে বলে।
সাধারণত একজন নরমাল প্রেগন্যান্ট মা যদি প্রেগ্ন্যাসির ৫ মাসের পর প্রথম উচ্চরক্তচাপ এ ভুগে থাকেন মানে রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর বেশি থাকে তাহলে এটাকে জেসটেশনাল হাইপারটেনশনে বলে।
এখন জেনে নেই কারা আছেন ঝুঁকিতে?
-যাদের পরিবারে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে
-ওজন বেশি
-অল্প বয়সী মা বা বেশি বয়সে প্রেগ্ন্যাসি
-গর্ভফুলের কোনো সমস্যা ইত্যাদি
যদি প্রেগন্যান্ট মা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাকে High risk pregnancy বলা হয়। এই রোগে আক্রান্ত মায়ের প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন চলে যায় তাহলে তাকে pre eclampsia বলা হয়।তখন রোগীকে অবশ্যই একজন গাইনী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ উচ্চরক্তচাপের সব ঔষধ প্রেগ্ন্যাসিতে খাওয়া যাবেনা।
উচ্চরক্তচাপ এ আক্রান্ত রোগীকে নরমালের তুলনায় বেশি ফলোআপে থাকতে হবে।
এই রোগে আক্রান্ত রোগীর কিছু বিপদচিহ্ন আছে যেগুলোর কোনটা থাকলে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
১)মাথাব্যথা
২)খিচুনি হওয়া
৩)উপরের পেটে ব্যাথা
৪)চোখে ঝাপসা দেখা
৫)রক্তাচাপ ১৬০/১১০ এর বেশি হয়ে যাওয়া ঔষধ খাওয়ার পরেও।
এই লক্ষনগুলো দেখা দিলে রোগীর এবং বাচ্চার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।তখন রোগীর অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাধারণত যে সব রোগী নিয়মিত ঔষধ খান না কিংবা ফলোআপ এ থাকেন না তাঁরা খুব ক্রিটিকাল অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তখন রোগী কিংবা বাচ্চার জীবন বাচানো কঠিন হয়ে পড়ে।তাই নিয়মিত ফলোআপে থেকে ররক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।