ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অনেকের মন পছন্দ খাবার। আমেরিকার মোট উৎপন্ন আলুর ২৫%থেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। ম্যাকডোনাল্ডেস দিনে ১০ লক্ষ পাউন্ড ওজনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিক্রি হয়। আমেরিকার প্রতি বাসিন্দা প্রতি বছর ৩০ পাউন্ড ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের ইতিহাস, জন্ম বৃত্তান্ত
- ফ্রান্সে জন্ম নয়
- ইউরোপের অন্য দেশে বেলজিয়ামে নামুর শহর
- সেখানকার অধিবাসীরা মাছ ভাজা খেতে খুব পছন্দ করেন। পাশের নদী থেকে মাছ এনে ভেজে খেতেন তারা। বিবিসির মতে ১৬৮০ সাল থেকে এই ফ্রাইর সাথে পরিচিতি হয় মানুষের।
- শীত কালে জল জমে বরফ হয়,তখন মাছের বদলে বিকল্প খোঁজ চলে। তখন সহজ লভ্য আলু আাসে মেনুতে, আলু ভাজা।
- নামুরের বাসিন্দারা আলু সরু করে কেটে তেলে ভেজে খাওয়া শুরু।
- ফ্রাই ফিস থেকে বেশি পছন্দ তাদের আলু ফ্রাই
- নাম কী হবে? ভেজে তৈরি তাই ফ্রাই। আলুকে সরু করে কেটে তেলে ভেজে বা ওভেনে রান্না করলে একে বলে ফ্রেঞ্চিং। এ থেকে নাম হল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- মাঝারি ওর্ডার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এতে ৩৬৫ ক্যালরি, ১৭ গ্রাম ফ্যাট, সোডিয়াম ২৪৬ মিলিগ্রাম। কিছু সুগার আর ট্রান্স ফ্যাট।
- এরা হাইড্রোজিনেটেড তেলে করা হয় ডিপ ফ্রাই। এতে মন্দ কোলেস্টেরল বাড়ে, ভাল কোলেস্টেরল কমে।
- হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ে দারুণ
- মাসে একদিন খেতে পারেন এত ইচ্ছা হলে
- ফ্রাই ক্যালরিতে ঠাসা। ওজন বাড়ে খেলে
- আছে উচ্চ মাত্রা ট্রান্স ফ্যাট। বিপজ্জনক ফ্যাট।
- বাড়ে ক্যান্সার ঝুকি
- হতে পারে অস্টিওপরোসিস
- এতে থাকে কীটনাশক
- আগাম মৃত্যুর আশংকা, নতুন গবেষণা। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন একে বলেছেন deadly