খিঁচুনি, মৃগী রোগ এপিলেপসি epilepsy

বাচ্চাদের খিঁচুনী ও আমাদের করণীয়

জ্বর ও জ্বরের পাশাপাশি গলা কিংবা কানের ইনফেকশান ও অন্যান্য ইনফেকশানের কারণে বাচ্চাদের খিঁচুনী হয়ে থাকে।বাচ্চাদের মস্তিষ্ক এই উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করার মত যথেষ্ট পরিপক্ক হয় না বিধায় এই ধরনের জ্বরজনিত খিঁচুনি হয়ে থাকে।

এই ধরনের খিঁচুনি কিছুটা চিন্তার বিষয় হলেও মারাত্নক কোন অসুখ নয়।তবুও যেসব শিশু জ্বরজনিত খিচুনীতে আক্রান্ত হয়,তাদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।

খিঁচুনীকালীন সময়ে করণীয় :

১)শিশুর চারপাশে বালিশ দিয়ে ঘিরে রাখা,যাতে খিচুনীর কারণে বাচ্চা পড়ে গিয়ে কোন আঘাত না পায়।তবে বাচ্চাকে চেপে ধরে রাখে যাবেনা।

২)বাচ্চার শরীরে আঁটসাঁট জামা-কাপড় থাকলে খুলে দেয়া যাতে বাতাস চলাচলের সুযোগ পায়। পাশাপাশি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ও কমানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন অতিরিক্ত শীতল না হয়ে যায়।

৩)খিচুনী বন্ধ হলে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাচ্চাকে বাম কাঁত করে শোওয়াতে হবে,এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

৪)সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে শিশুর এই খিচুনীকালীন সময়ে আতংকিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

কখন বুঝবেন বাচ্চার খিচুনী হচ্ছে :

১)শিশুর শরীরে প্রচন্ড ঝাঁকুনি,মুষ্টিবদ্ধ হাত এবং পিঠ যদি বাঁকানো থাকে

২)প্রচন্ড জ্বর,কখনো কখনো শিশু প্রচন্ড ঘামতে থাকে।

৩)মুখের মাংসপেশী টান টান হয়ে যাওয়া,সাথে চোখ স্থির হয়ে যাওয়া বা উলটানো।

৪)মুখ থেকে লালা ঝরা

৫)কখনো কখনো বমি হওয়া

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে শিশুকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।তবে আশার কথা হচ্ছে এই ধরনের জ্বরজনিত খিচুনী অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়সের সাথে সাথে কমে যায়।

Dr Punam Palit MBBS BCS (Health)

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.