একজন ডাক্তারকে অনেক কিছু শিখে , অনেক বিধি নিয়ম মেনে , দেখে শুনে কাজ করতে হয় আর মানুষের প্রত্যাশা তাদের কাছে বেশি আর সমালোচনা বেশি তাদের , ভাল কাজের প্রশংসা বিরল তবে খুত সামান্য হলেও ছাড় নেই ।
আবার এদিকে যারা হাতুড়ে , কোন ডিগ্রী নাই , সেলফ স্টাইল নিদানিক কিন্তু সে কাজ করে নির্ভয়ে কারন তার জ্ঞান সীমিত , কিন্তু তার বচন খুব কৌশলী , উপস্থাপনা আর মিথাকে সত্য বানাবার মায়াময় দক্ষতা , আর তার ধরা পড়ার যেন ভয় নাই , আর আম জনতার মধ্যে নিজের ইমেজ প্রতিষ্ঠা করা আর তাদের মধ্যে একটি ভরসার স্থল সৃষ্টি করাতে চতুর , নিরাময় যোগ্য নয় এমন রোগ যেমন , ক্যান্সার , ডায়েবেটিস এসব সে নিরাময় করার দাবি করে আর এতে মানুশের বিশ্বাস স্থাপিত করার অপূর্ব কৌশল চমৎকার ,আর জনগণও কখনও তাঁদের সমালোচনা করেনা , প্রহার করেনা , আর বেশির ভাগ সময় নির্বিবাদে নিজ কর্ম চালিয়ে যেতে পারে , কোন বেরসিক আইনি লোক ধরে ফেললে একে সে অবধারিত মনে করে আর ইতিমধ্যে যে বিপুল অর্থ উপার্জন করে একে সে বিশাল প্রাপ্তি মনে করে আর একে বিনিয়োগ মনে করে , ব্যবসায় বিনিয়োগের মত ।
বাচন ভঙ্গি , অঙ্গ ভঙ্গি মাঝে মাঝে মাজিক এমন সব প্রপঞ্চ কিন্তু মানুষের মনে আনে রহস্যের ঘনঘটা , যে কোন ফুটপাথে বানর নাচ দেখালে অনেক লোক জমে যায় , বাঙালি কৌতূহলী দেখতে ভাল বাসে এমন সব ব্যাপার । তারুন্যে যখন কলেজে পড়ি দেখতাম গুলিস্তানে ফুটপাথে সালাজুদ বিক্রি করত কাবলিরা , পিছনে নাটকের বিরাট স্ক্রিনের মধ্যে পশু বন জঙ্গলের ছবি সামনে অনেক গুলো বিয়্যাম এর মধ্যে নানা উপকরন , জড়ি বু টি । বক্তৃতা শুনে লোক জমে যেত বিক্রি হত বেশ , আমোদ লাগত । বাকচাতুর্য দেখে অবাক হবার পালা।