একজন নারীর জীবন জন্ম থেকে মৃতু পরযন্ত একইভাবে যায়না।এক একটা অধ্যায় একেকভাবে যায়।বলাবাহুল্য নারীর জীবন পুরাটাই হরমোনের খেলা।রজঃশ্রাবের মধ্য দিয়ে যে নারী জীবন শুরু তার মেনোপজ বা রজঃচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে এটা শোষ হয়।তখন বলা যায় নারীর জীবনে শেষের শুরু হয়।
মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর এই সময়ের মধ্যে। মেনোপজ হয়ে গেলে নারীর প্রধান হরমোন ইস্ট্রোজেন প্রজেস্টোরন তৈরি হওয়া অনেকটাই কমে যায়।তাই নারীকে এইসব হরমোনের অভাবজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন।
কি কি সমস্যা দেখা দেয়?
১) হট ফ্ল্যাশ বা অতিরিক্ত গরম লাগা
২)রাতে অতিরিক্ত গরম লাগা
৩)ঘুমের সমস্যা
৪) যোনিপথ শুকিয়ে যাওয়া
৫) ঘন ঘন মুড পালটানো
৬)ওজন বেড়ে যাওয়া
৭) শরীর ব্যাথা করা ও দুর্বল লাগা
এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন।অনেকের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা আগে থেকেই থাকে।ঐসব নিয়মিত সমস্যার সাথে মেনোপজের সমস্যা যুক্ত হয়ে নারীর জীবন দুর্বিষহ হয়ো উঠে।
করণীয় কি?
গর্ভকালীন সময়ে যেমন নারীর প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়া হয় তেমনি এখানেও সেটা দিতে হবে।একজন মেনোপজ হওয়া নারীর প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে তাঁর জীবনের এই অধ্যায়ের সাথে খাপখাওয়াতে।
এই সময় নারীকে পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।এটা হাড়ের ব্যাথা কিংবা অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী।এতে ঘুমের সমস্যা ও অনেকাংশে কাটে।
নারীর ঘন ঘন মুড পালটানোর সমস্যার জন্য তার সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করতে কাছের মানুষদের।
যোনিপথ শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে একজন নারী গাইনোকলিজ্যাল সমস্যায় পড়েন। এইসময় যোনিপথের ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়।সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।শুধু তাই নয় যোনিপথ শুকিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন ব্যহত হয়।এই কারণে ভুক্তভোগী নারীকে কাউন্সেলিং করতে হবে।
সমস্যা অতিরিক্ত হলে বাইরে থেকে হরমোন দেয়া যায় যেহেতু হরমোন উৎপাদন কমে যাওয়ায় সমস্যাগুলো হয়।কিন্তু এক্ষেত্রে রোগী হরমোন চিকিৎসার জন্য ফিট কিনা তার জন্য গাইনি বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে।ইচ্ছেমতন নেয়া যাবে না।কারণ ইস্ট্রোজেন ব্রেস্ট ও ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
সর্বশেষ একজন নারীকে তাঁর এই নতুন জীবনের সাথে খাপখাওয়াতে কাছের মানুষজন সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।একজন নারীর নিজেকে ও মেনোপজ পরবর্তী জীবন সম্পরকে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।