ম্যালেরিয়া (Malaria) সাধারণত দুই ভাবে ছড়ায়: ১। মশার কামড়ে এবং ২। রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে। এছাড়াও ৩। অঙ্গ প্রতিস্থাপন (organ transplantation), ৪। সুঁই এবং সিরিঞ্জ শেয়ারের মাধ্যমে এবং ৫। মা থেকে সন্তানে ছড়াতে পারে।
১। মশার কামড়ের মাধ্যমে
স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মশা থেকে মানবদেহে প্রবেশ করে। মনে রাখা দরকার, স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা এখানে শুধু বাহকের ভূমিকা পালন করে। ম্যালেরিয়া হয় ম্যালেরিয়া পরজীবীর মাধ্যমে। এই পরজীবী থাকে মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায়। সংক্রমিত ব্যক্তিকে যখন মশা কামড় দেয় তখন রক্তপানের সাথে ম্যালেরিয়ার পরজীবী মশার শরীরে প্রবেশ করে।
১৮৯৭ সালে ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ ডাক্তার স্যার রোনাল্ড রস প্রমাণ করেন যে Anopheles (অ্যানোফিলিস) মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। এ যুগান্তকারী আবিষ্কারের কারণে তাকে ১৯০২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
২। রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দান করে, তাহলে তার দেহেও এই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
৩। অঙ্গ প্রতিস্থাপন (organ transplant)
অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে ম্যালেরিয়া। তবে এমন হবার সম্ভাবনা খুব কম। সলিড অর্গান যেমন কিডনি, লিভার এবং ক্ষেত্র বিশেষে হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া ছড়ানোর প্রমাণ আছে।
৪। সুঁই এবং সিরিঞ্জ শেয়ারের মাধ্যমে
আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সুঁই এবং সিরিঞ্জ শেয়ারের মাধ্যমে সুস্থদেহে প্রবেশ করতে পারে ম্যালেরিয়ার জীবাণু। তাই যেকোন সময় সুঁই ও সিরিঞ্জ ব্যবহারের পূর্বে তা জীবাণুমুক্ত (sterile) কিনা নিশ্চিত হতে হবে।
৫। মা থেকে সন্তানে
গর্ভাবস্থায় ও ডেলিভারির সময় আক্রান্ত মা থেকে সন্তানে ছড়াতে পারে ম্যালেরিয়ার জীবাণু।
তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া/ম্যালেরিয়া
২। সিডিসি