রোগীর লক্ষণ, উপসর্গ ও ল্যাব পরীক্ষা থেকে ডাক্তার নিশ্চিত হবেন রোগীর ম্যালেরিয়া হয়েছে। ম্যালেরিয়া হলে কিছু সতর্কতা, উপদেশ মেনে চলতে হয়।
১। মশার কামড় থেকে রক্ষা
স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মশা থেকে মানবদেহে প্রবেশ করে। ম্যালেরিয়া থেকে সুরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ তাই মশার কামড় থেকে রক্ষা করা।
- চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোথায় যেন পানি জমে মশার বংশবৃদ্ধি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা
- সন্ধ্যার আগে ঘরের জানালা বন্ধ করে দেয়া
- মশারী টাঙিয়ে ঘুমানো
- ফুল হাতা জামা পরা
- স্প্রে, কয়েল, রিপিলেন্টের ব্যবহার করা যেতে পারে
২। সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ
অন্যান্য রোগের ওষুধের তুলনায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ ও ডোজে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ সঠিক সময়ে গ্রহণ করতে হবে।
৩। ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ করুন
ম্যালেরিয়া ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ না করলে রোগ থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলে না, অনেক বছর শরীরে জীবাণু রয়ে যেতে পারে কোন উপসর্গ ছাড়া। এছাড়া কোর্স শেষ না করলে ওষুধের কার্যকারিতা হারায় (ড্রাগ রেজিস্টেন্ট হয়ে পড়ে)।
৪। প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম
জ্বর, কাঁপুনি, ঠাণ্ডা লাগা, শীত শীত অনুভূতির সময় বিশ্রামে থাকুন। নিয়মিত কাজ ধীরে সুস্থে করতে পারবেন, আগে সুস্থ হয়ে নিন।
৫। পানিশূন্যতা যেন না হয়
জ্বর এলে বিভিন্ন কারণে শরীরে পানির পরিমাণ কমে। ঘাম হয়, তাপমাত্রা বাড়ে, মেটাবলিজম বেশি হয়, সাথে খাবারে অনীহা। পানিশূন্যতা এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন।
৬। প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না
- খাবারের তীব্র অনীহা হলে, কিছু খেতে না পারলে, পানিশূন্যতা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
- ওষুধের যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় জরুরী ভিত্তিতে যোগাযোগ করুন।
- ওষুধ নেয়ার পরও রোগের উন্নতি না হলে ডাক্তারকে জানান।
৭। রক্তদানের আগে জেনে নিন
ম্যালেরিয়া রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ম্যালেরিয়া থেকে সেরে ওঠার পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রক্তদানে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে। রক্তদানের আগে ডাক্তারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে নিন।