রক্ষা করুন জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের
করোনা কালে করোনা সংক্রমণের প্রতি সবচেয়ে ভঙ্গুর জন গোষ্ঠী হল বয়স্ক মানুষ । ৬০ ঊর্ধ্ব এসব নাগরিকের অনেকের আছে ডায়েবেটিস , উচ্চ রক্ত চাপ , , হৃদ রোগের মত ক্রনিক রোগ । ক্রনিক রোগ , বেশি বয়স , দেহ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অবনতি সব তাদেরকে কোন কোন ক্ষেত্রে শোচনীয় পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
বয়স্ক মানুষ সংক্রমণে নতি স্বীকারের পেছনে রয়েছে দৈহিক আর সামাজিক কারন । বয়স হবার সাথে সাথে আমাদের দেহ প্রতিরোধ নিঃশেষিত হতে থাকে । দেহের লড়াই করার শক্তি ক্রমে কমতে থাকে।
এর সাথে যে সহ রুগ্নতা আছে যেমন শ্বাস যন্ত্রের রোগ যেমন এজমা , ডায়ে বে টি স , হার্টের অসুখ এদের জন্য বয়স্ক মানুষ যেমন একদিকে বেশি সংক্রমণ প্রবন অন্যদিকে এরা রোগ হলে আরোগ্য লাভ হয় বিলম্বিত । দেহ প্রতিরোধ শক্তি নিঃশেষিত হবার কারনে , দেহের যন্ত্রের প্রান শক্তি আর ক্ষমতা খর্ব হয়ার কারনে সে সাথে ক্রনিক রোগ থাকার কারনে এদেরকে উচ্চ ঝুকি গ্রুপ বলছেন বিশেষজ্ঞরা ।
তাদের নিরাপদ রাখার মুল চাবি কাঠি হল প্রতিরোধ ।
লক ডা উ নের সময় তাদের অবশ্য থাকতে হবে ঘরে । তাদের ভাই টেল যেমন রক্ত চাপ , রক্ত গ্লুকজ , আর ফুস্ফুস কাজ কর্ম নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন । যারা ঘরের বাহিরে যান , যারা কাজের কারনে বাধ্য হয়ে ঘরের বাহিরে যান এদের থেকে দূরে থাকতে হবে ।
সংক্রমণ ঠেকাবার মুল উপায় হল শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা । খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার আর প্রয়োজন যথেষ্ট নিদ্রা । ধ্যান চর্চা ,প্রার্থনা মৃদু ব্যায়াম করা যেতে পারে । অন্যদের থেকে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা আর অতিথি সাক্ষাত না করা এটি মানতে হবে ।
যাদের আছে ক্রনিক শ্বাস যন্ত্রের রোগ যেমন হাপানি তারা ওষুধ আর ইনহেলার কাছে রাখতে হবে । অন্যান্য অসুখের ওষুধ বাড়তি মজুদ রাখা ভাল । সামাজিক বিচ্চিন্নতা আর কফ কাশ শিষ্টা চার , হাত ধোয়া চলবে । মাস্ক পরতে হবে ।
তাদের খাবারে থাকবে মৌসুমি ফল আর সবজি ।
তাদের পান করতে হবে প্রচুর পানি । খাবারে থাকবে ভিটামিন সি । চিকেন , মাছ , ডিম , কুসুম ছাড়া ।
কিছুটা এমন নিঃসঙ্গ হলে তাদের বিষণ্ণতা হতে পারে , তাই তাদেরকে বলতে হবে ইন্টার নেট , ট্যাবলেট , মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও চ্যাট করা , নেট ব্রাউজ করে তথ্য আহরন , অনলাইন করে খাবার বা ওষুধ সংগ্রহ আর অনলাইন ক্লাসে অংশ গ্রহন করা আর গান শোনা , বই পড়ার মত কাজ করা । এতে নিঃসঙ্গতা কাটবে ।
বয়স্ক লোক কো ভি ড ১৯ সঙ্ক্রমিত হলে তাদের প্রাধিকার ভিত্তিতে কো ভি ড ওয়ার্ডে ভর্তি করা উচিত । কিছু টেস্ট করা উচিৎ , ফুস্ফুসের সি টি স্ক্যান প্রয়োজনে । বিপদ সংকেত হল শ্বাস কষ্ট , বুক ব্যথা আর তরল মল । অবিলম্বে রোগ ভবিশ্য অনুমান করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে ।
এদের আগে ভাগে হাসপাতাল ভর্তি দরকার কারন এদের অবস্থা দ্রুত শোচনীয় হতে পারে । প্রয়োজনীয় ওষুধ , রক্তে অক্সিজেন মান ঠিক রাখা , অন্তর্গত শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখা চাই । এসবে কাজ নয়া হলে অল্প কয়েকজনের লাগতে পারে আই সি ইউ সাপোর্ট , ভ্যানটি লে শন , রক্ত জমা ট রোধী ওষুধ , স্টেরয়েড এরকম ব্যবস্থা ।