শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ হলে করণীয়

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ হলে করণীয়

বর্তমান সময়ে ডায়াপার খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডায়াপারের সহজলভ্যতা মায়েদের পরিশ্রম কিছুটা হলেও হ্রাস করেছে। কিন্তু একইসাথে বাচ্চাদের ডায়াপার র‍্যাশ কিংবা ফুঁসকুড়ি হবার হার ও বেড়েছে।

ডায়াপার র‍্যাশের প্রধান কারণ হচ্ছে বাচ্চার প্রস্রাব বা পায়খানা তাদের নাজুক ত্বকের সংস্পর্শে আসা। এর ফলে শিশুর ত্বকের প্রতিরক্ষাকারী উপাদানসমূহ ঠিকমত কাজ করতে পারেনা। কম-বেশি প্রায় সব শিশুই এই ডায়াপার র‍্যাশে আক্রান্ত হয়। কী করলে এই অস্বস্তিকর ফুঁসকুড়ি থেকে মুক্তি মিলবে, দেখে নেয়া যাক :

১) নির্ধারিত সময় পর পর শিশুর ডায়াপার বদলে দিন। সম্ভব হলে ডায়াপার ছাড়াও কিছুক্ষণ রাখার অভ্যেস করুন।

২) প্রত্যেকবার ডায়াপার বদলানোর সময় নরম সুতি কাপড় ভিজিয়ে শরীরের ওই অংশটুকু চেপে মুছে দিন। তবে অবশ্যই সাবান বা অন্য ডিটারজেন্ট জাতীয় কিছু ব্যবহার করবেন না।

৩) শিশুকে পরিস্কার করার জন্যে এলকোহলযুক্ত ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করবেন না,এটি শিশুর ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। এর পরিবর্তে তুলার বল এবং পানি ব্যবহার করুন।

৪) কাপড়ের তৈরী ডায়াপার ব্যবহার করলে তা খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন,যাতে এতে কোন ডিটারজেন্ট লেগে না থাকে।

৫) গোসলের পর খুব আলতোভাবে চেপে গায়ের পানি মুছে দিন,জোরে ঘষলে শিশুর ত্বকে আরো বেশি ইরিটেশান হতে পারে।

৬) যদি র‍্যাশ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে জিংক অক্সাইড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন,যা বাজারে D-rash ক্রিম নামে পাওয়া যায়। র‍্যাশ কমাতে এটা খুবই কার্যকরী।

৭) প্রত্যেকবার পরিস্কার করার পর নতুন ডায়াপার পরানোর আগে জায়গাটা ভালোমত শুকিয়ে নিন।

৮) শিশু পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন,এতে করে তার প্রস্রাবের এসিডিটি কমবে,এই প্রস্রাবের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতিও কম হবে।

৯) তাও র‍্যাশ হতে থাকলে অন্য ব্র‍্যান্ডের ডায়াপার ব্যবহার করুন

১০) র‍্যাশ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন,কারণে অনেক সময় এই ধরনের র‍্যাশ হতে ছত্রাকজনিত ইনফেকশান হতে পারে, সেক্ষেত্রে ছত্রাকনাশক ক্রিম ব্যবহার করতে হয়।

Dr Punam Palit MBBS BCS (Health)

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.