- নেগোসিয়েশনের অপরপক্ষে কে আছে তার সম্পর্কে জানা থাকা নেগোসিয়েশনে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ।
- নেগোসিয়েশনে যাওয়ার আগে পরিষ্কার ধারণা থাকা চাই এই নেগোসিয়েশন থেকে আমার বা আমার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা, লক্ষ্য সম্পর্কে।
- অপরপক্ষের চাওয়া সম্পর্কেও জানা থাকা চাই। দুইপক্ষের প্রত্যাশা পরস্পর হলে নেগোসিয়েশনের যাত্রা শুরু।
- এরপর বিবেচনা করব অপরপক্ষের প্রত্যাশা কি নেগোসিয়েশন যোগ্য? মাঝে মাঝে এমন চাহিদা আসতে পারে যা নেগোসিয়েট করার মত না। এ ক্ষেত্রে নেগোসিয়েশন এখানেই সমাপ্তি। এজন্য নেগোসিয়েশনে যাওয়ার আগে ঠিক করে নিতে হবে সীমারেখা ও রেঞ্জ।
- প্রত্যেক নেগোসিয়েশনে একটা অফার দিয়ে শুরু হয়। অদ্ভুত কিছু না বলে দুপক্ষের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন বিবেচনা করে আগাতে হবে। এমন কিছু বলা যাবে না যা অপরপক্ষের জন্য অপমানজনক হয়। এতে আপনার প্রতি অপরপক্ষের আস্থা দুর্বল হয়ে যায়। আস্থা দুর্বল হলে নেগোসিয়েশনে আপনি ভালো পজিশনে আর থাকলেন না।
- নেগোসিয়েশন যোগ্য হলেও অনেক সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা হয় না। এক্ষেত্রে একটা ব্যাক আপ প্লান থাকা ভালো। পরিস্থিতি, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ইত্যাদি অনুযায়ী ব্যাক আপ প্লান ঠিক করতে হয়।
- প্রতিটি নেগোসিয়েশন, পার্টি ভিন্ন তাই নেগোসিয়েশনে কতটুকু তথ্য শেয়ার করব তার সীমারেখা থাকা চাই।
- নেগোসিয়েশনে মূল আলোচনার বাইরে, প্রত্যাশার বাইরেও আপাত অপ্রাসঙ্গিক এমন বিষয় থাকতে পারে যা থেকে নেগোসিয়েশন শুরু হতে পারে, ক্লোজ হতে পারে। যেমন হয়তো উদ্দেশ্য ছিল ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি করার। আপনার জন্য এটাই লাভজনক, কিন্তু অপরপক্ষের চাওয়া হতে পারে ‘প্রচারণা, পরিচিত হওয়া’।
