আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ঘর গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে আমরা প্রায়শই “সামান্য পুড়ে যাওয়া” সমস্যার সম্মুখীন হই। অসাবধানতবশত: গরম ইস্ত্রি বা কড়াইতে হাত দিয়ে হাত পুড়ায়নি এমন গৃহিনী বোধহয় খুঁজে পাওয়া বোধহয় কঠিন হবে। এই ধরনের পোড়া সাধারণত প্রাথমিক চিকিৎসায় এবং প্রাকৃতিকভাবেই সেরে যায়। তবে পোড়ার তীব্রতা বেশি হলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতে পারে।
শরীরের কোন জায়গা পুড়ে গেলে পুড়ে যাওয়া স্থানে ত্বকের নিচের অংশ থেকে টিস্যু ফ্লুইড নি:সৃত হয়ে বুদবুদের মত ফোস্কা তৈরী হতে পারে। এই ধরনের ফোস্কা কখনোই ভাংগা উচিত নয়,এতে ইনফেকশানের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এধরনের সামান্য পোড়ার ক্ষেত্রে প্রথমে ত্বক লাল হয়ে যায়,পোড়াস্থানে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং পরবর্তীতে ফোস্কা সৃষ্টি হয়।
এমতাবস্থায় করণীয়
১)আহত স্থান কলের ঠান্ডা পানির নিচে কমপক্ষে দশ মিনিট অথবা ব্যথা না কমা পর্যন্ত ধরে রাখুন।
পানি না থাকলে ঠান্ডা দুধের প্যাকেট বা পানীয়ের বোতল ধরে রাখা যেতে পারে।
২)আহত স্থানে কোন জুয়েলারী,ঘড়ি কিংবা আঁটসাঁট পোশাক থাকলে পোড়া স্থান ফুলে উঠার আগেই তা সতর্কতার সাথে সরিয়ে নিন।
৩)পোড়া স্থান ঠান্ডা হয়ে এলে তা পরিস্কার পাতলা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৪)রোগী যদি শিশু হয় কিংবা ক্ষতস্থান নিয়ে কোন ধরনের সন্দেহ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কী কী করবেন না
১)কখনোই ফোস্কা নিজ থেকে ভেংগে দিবেন না
২)খুব টাইট করে ব্যান্ডেজ বাঁধবেন না।
৩)পোড়াস্থানে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ওষুধ প্রয়োগ করবেন না।