সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ) ফুসফুসের এমন একটি রোগ যাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
মেকানিজম
এতে ফুসফুসের থলিগুলোতে ( অ্যালভিওলাই) কম বাতাস পৌছায়,
কারণ –
১.থলিতে বাতাস যাবার নলসমুহের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়
২.নলসমুহে কফ জমে বাতাস যাবার পথ সরু হয়ে যায়
৩.নলসমুহের দেয়াল মোটা হয়ে যায়
৪.থলিগুলির কিছু কিছুতে দেয়াল নষ্ট হয়ে যায়।
কারণ
১.ধূমপান ★★
(এমনকি যৌবনে দীর্ঘদিন ধূমপান করে পরে ছেড়ে দিলেও, বৃদ্ধ বয়সে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে)
২.বায়ু দূষণ, ধুলো, কালো ধোঁয়া ইত্যাদি
৩.জন্মগত আল্ফা ওয়ান এন্টিট্রিপ্সিন এর অভাব
লক্ষ্মণ
১.কাশি
২.শ্বাসকষ্ট (শ্বাস নেয়ার চেয়ে, ফেলতে কষ্ট বেশি)
৩.নিঃশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ
৪.বুক ভার ভার লাগা
৫.ক্লান্তি,দুর্বলতা ইত্যাদি
প্রভাব
সিওপিডি শুরু হয় ধীরে ধীরে। কিন্তু বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থায় পৌঁছয় যে, হাঁটাচলা করাও কঠিন হয়ে ওঠে।
এটা মধ্য বয়সে বা বৃদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়ে।
এর কোনোও ওষুধ নেই। ফুসফুসের ক্ষতি একবার হয়ে গেলে সেটাকে সারানো সম্ভব নয়।
চিকিৎসা হল উপসর্গকে কিছুটা প্রশমিত রাখা এবং অসুখের গতিটাকে একটু হ্রাস করা।
পরামর্শ
১.অবশ্যই ধুমপান ছাড়তে হবে।(এতে ঘনঘন শ্বাসকষ্ট এর প্রকোপ কমবে)।
২.প্রয়োজনে নিয়মিত চিকিৎসকের শিখানো নিয়মে ইনহেলার ব্যবহার করুন
৩.সুষম খাবার গ্রহন করুন।
৪.সাথে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ থাকলে অতিরিক্ত সতর্ক হোন।
৫.স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
৬.ধুলোবালিতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৭.প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মত নিউমোকক্কাস
এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন নিতে হবে।
কখন অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে
১.অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হলে
২.সাথে জ্বর হলে
৩.কফের পরিমাণ বেশি বা কফ হলুদ হলে
৪.কাশির ধরন পরিবর্তন হলে
৫.কফের সাথে রক্ত গেলে
৬.দ্রুত ওজন হ্রাস পেলে