স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য

আমরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে বলি,
ভাষন দেই।
কিন্ত দেশের মানুষ চিকিৎসা পেতে অনেক সময় নিঃস্ব হয়,সহায় সম্পদ বিক্রি করে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের হয়েছে প্রভুত উন্নতি।কিন্তু সব চিকিৎসা সুলভ নয় আর অভিগম্য নয়।
আর সাধারণ রোগের চিকিৎসা এখন আর যথেষ্ট নয়।রোগের ব্যাপ্তি বেড়েছে তেমনি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে অনেকে দেশের বাইরে চিকিৎসা করানর মত সামর্থ্য অর্জন করলে ও আম জনতার চিত্র এমন নয়।
একথা ভাবা দরকার সময়ের সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, রোগ নানা রকম হচছে এক সময় যা জানা যেতনা,বাড়ছে বয়সী মানুষ, বাড়ছে ক্রনিক রোগ অনেক দুশ্চিকিৎস্য রোগ ক্যানসার,ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, মানসিক রোগ,জরার নানা রোগ,এসব চিকিৎসার খরচ কম নয়। তাই রোগ নির্ণয় উন্নত হওয়াতে অনেক রোগ ধরা পড়ছে।বয়স্ক মানুষের রোগ বাড়ছে।নব উদ্ভুত নানা রোগের হচছে প্রাদুর্ভাব।
এসব বিষয় প্লান করার সম য় ভাবনায় রাখা উচিত।
দেশের সাস্থ্য বাজেট কম,দোষ সরকারের নয়,যে টাকা সরকার দেন তাও সঠিক খরচ করার যোগ্যতা নাই আর বাজেট বাড়ালেই একে পরিকল্পনা মাফিক খরচ সঠিক কি কি খাতে করা যাবে তে মন যোগ্য চিন্তা করার মত ব্যক্তির অভাব অনুভুত হয়।আর সে সংগে মাইক্রো আর ম্যাকরো দূর্নীতি সমস্যা আরও ঘনীভূত করে।
দেশে হেলথ ইন্সুইরেন্স চালু করলে অনেকে জটিল চিকিৎসা করার জন্য সহায় সম্পদ বিক্রি করার মত দুসময় এর শিকার হতেন না।সবাসথ্য সেবা আর গবেষণা খাতে দেশের ধনী ব্যক্তি দের অবদান অন্যান্য দেশের মত হলে ভাল হত।
আর চিকিৎসা গবেষনা দেশে বিচ্ছিন্ন উদ্যোগের মত এর জন্য গুরুত্ব আরোপ, এৃমন চিন্তা আর ব্যাপক আয়োজন দেশে দেখিনা।
গবেষণা দেশ, সমাজ বদলে দেয় এমন আদর্শে উদ বুদ্ধ দর্শন ও চিন্তা নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে নাই।
এমন সমাধান নানা দেশে আছে কিন্তু আমরা কেন একে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এত দ্বিধা দ্বন্দএ এর কারন আমি জানিনা।
আর দেশে এলাকা ভিত্তিক জিপি আর রেফেরাল সিস্টেম করলে সাধারনের অনেক সুবিধা হত।এখন সাধারণ সর্দি কাশি হলে লোকে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক খোজেন।এতে চিকিৎসা ভারসাম্য নস্ট হয় অযথা চাপ পড়ে সিনিয়ার চিকিৎসক দের উপর।
এতে চিকিৎসা ব্যবসথায় শৃঙ্খলা আসত।দেশে ফ্যামিলি মেডিসিন কে সরকারি ভাবে গুরুত্ব দিলে ভাল হত।
দেশে বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আরও সাশ্রয়ী হলে চিকিৎসক দের সঠিক হারে মুল্যায়ন করলে উন্নতি হত
আর বেসরকারি সেবা সন্তোষ জনক হলে আর আমাদের হেলথ ল্যাব গুলো একরেডিটেশন করা হলে অন্যান্য দেশের মত দেশে গড়ে উঠত মেডিকেল টুরিজম।
দেশের বেসরকারি চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি বিশেষজ্ঞ আর নবিন ডাক্তার সম্বল অধিকাংশ ক্ষেত্রে। বেসরকারি সাস্থ্য কর্তা রা নিজদের বিশেষজ্ঞ আর তরুন ডাক্তার প্যানেল গড়ে তুল্লে আর তাদের সেবার যোগ্য মুল্যায়ন করলে উন্নতি হত।বর্তমানে তরুন যে ডাক্তার রা া এসব ক্লিনিক বা হাসপাতালে কাজ করেন এদের শ্রমের মুল্যায়ন হতাশা ব্যঞ্জক।
অথচ দেশের অনেক লোক বাইরে চলে যায় চিকিৎসার জন্য। বাস্তব এসব অবস্থা বিবেচনা করে সমাধান খোঁজ করা উচিত কর্তা দের।
আর আজকাল চিকিৎসা সেবার দৃষ্টি ভংগী পাল্টেছে।এখন প্রবর্তন হয়েছে প্রিসিসন মেডিসিন। right treatment to right patient at the right time.
এখন রোগী ভিত্তিক চিকিৎসা বা পারসোনেলাইজড মেডিসিন। রোগের চিকিৎসার চেয়ে অগ্রাধিকার রোগীর চিকিৎসার।
আর মেডিক্যাল শিক্ষার বাস্তব অবস্থা নির্মোহ মুল্যায়ন দরকার।আমরা কি মান সম্পন্ন ডাক্তার পাচ্ছি
পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে কি গুন গত মানের সাথে কি সমঝোতা করছি?
আর যারা বেরুলো তাদের ভবিষ্যৎ কেরিয়ার প্লানিং নিয়ে কি ভাবছি? কর্তা রা এসব নিরপেক্ষ দৃস্টি তে ভাবা উচিত।

Prof Dr Subhagata Choudhury

Ex Principal Chittagong Medical College
Ex Dean Medicine, Chittagong University
Ex Director, Lab Service, BIRDEM

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.