স্যার উইলিয়াম অসলার ক্যানাডিয়ান চিকিৎসক, জন হপকিন্স হাসপাতালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। চিকিৎসকদের স্পেসিয়েলিটি প্রশিক্ষনের জন্য রেসিডেনসি প্রোগ্রাম সুচনা করেন আর তিনি প্রথম মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদেরকে লেকচার হল থেকে বের করে নিয়ে আনেন বেড সাইড ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং-এ।
মেডিসিনের অধ্যাপক ছাত্র পড়িয়েছেন ক্যানাডায়। তাঁর সেই বিখ্যাত বই ” The Principles and Practice of Medicine” (1892) সেকালে নামকরা টেক্সট বই। মেডিক্যাল এডুকেশন সংগঠিত সমন্বিত করা, কারিকুলামকে রূপ দেয়া, এর রূপান্তর করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন। আর ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতার ওপর জোর দেন।
রেভেরেনড ফি ডার স্টোন অসলারের নয় সন্তানের সবচেয়ে ছোট এই সন্তান প্রথম স্কুলে ন্যাচারেল হিষ্ট্রি ছিল তার প্রিয় বিষয়, এরপর ট্রিনিটি কলেজ টরেনটো। এরপর মনট্রিয়েল ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৭২ সালে নিলেন সেখান থেকে মেডিক্যাল ডিগ্রি। এরপর দু বছর কাটালেন ইউনিভারসিটি, লন্ডনে ফিজিওলজি ল্যাবে। ১৮৭৩ তার আবিষ্কার রক্তের
অণুচক্রিকা। এরপর মনট্রিয়েল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আর প্যাথলজিসট। ১৮৮৪ সালে পেনসিলভেনিয়া স্কুল অব মেডিসিনে অধ্যাপক আর বিভাগীয় প্রধান। এসোসিয়েশন অফ ফিজিসিয়ানস-এর তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৮৮৮ সালে
নতুন জন হপকিন্স স্কুল অব মেডিসিন। বালটিমোরে প্রথম প্রফেসর অব মেডিসিন।
মেডিক্যাল পরিভাষাতে তিনি স্মরণীয় “অসলার নোড”( হাতে লাল , স্ফিত বেদনাময় গুটি, বিশেষ হার্টের সমস্যার ইঙ্গিতবাহি), অসলার ভেকুএজ ডিজিজ নামে রক্তের এক রোগ, অসলার-রেনডু-ওয়েবার ডিজিজ। ১৯১৯ সালে তিনি মারা যান নিউমোনিয়া হয়ে।
তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি, “একজন ভাল চিকিৎসক রোগের চিকিৎসা করেন আর একজন মহান চিকিৎসক করেন সেই রোগীর যার সে রোগ রয়েছে।”