ব্রণের সমস্যায় ভুগেনি এমন মানুষ বোধহয় সহজে পাওয়া যাবে না। বয়:সন্ধিকালে নারী-পুরুষ উভয়েই এই সমস্যায় ভুগলেও নারীরা প্রায় ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
বয়:সন্ধিকালে পুরুষের শরীরে অধিক পরিমাণে এবং নারী শরীরে খুব সামান্য পরিমাণে “পুরুষ হরমোন” নি:সৃত হয় যা ত্বকে তেল নি:সরণের জন্য দায়ী। বয়:সন্ধিকালে ত্বকে অবস্থিত সেবেশিয়াস গ্রন্থি অধিক তেল নি:সরণ করে এবং কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই তেল ত্বকের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করে দেয়। এভাবে তেল,বাইরের ধুলো-ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া জমে বদ্ধ ছিদ্র তৈরী হয়, যাকে বলা হয় Whiteheads, আর যদি ছিদ্রগুলো খোলা থাকে তাহলে তৈরী হয় Blackheads. জমে থাকা তেল থেকে ইনফেকশান হয়ে ফুঁসকুড়ি এমনকি cyst ও তৈরী হতে পারে।
ছেলেদের ত্বক মেয়েদের চেয়ে বেশি তৈলাক্ত বিধায় ছেলেদের ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। ব্রণ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়,একজন থেকে আরেকজনে এটা ছড়ায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা খাবারের সাথেও সম্পর্কিত নয়। মুখের ত্বকের পাশাপাশি কাঁধ ও পিঠেও ব্রণ দেখা যেতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রণের সমস্যা কমতে থাকে, তবে অনেকের ক্ষেত্রে তীব্রতা বেশি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয়।
ব্রণ ওঠা কমাতে কী কী করা যেতে পারে?
- স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পানি ও ফেশওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত দুইবার মুখ ধোয়া (তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে)
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন। ব্রণের চিকিৎসা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী হয়, তাই ধৈর্য ধারণ করা
- Oil-free প্রসাধনী ব্যবহার করা
- ব্রণ উঠলে তা খোঁচানো বা চুলকানো যাবেনা, কারণ তাতে ইনফেকশান হয়ে আরো ক্ষতি হতে পারে
- সূর্যালোকে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
- পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে একজন স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ (ডার্মাটোলজিস্ট) শরণাপন্ন হওয়া।