Anaphylaxis/Anaphylactic shock এমন একটি অতিপ্রতিক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানুষের জীবন অল্প সময়ের মধ্যে সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে। মূলত এলার্জেনের বিরুদ্ধে আমাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অতিপ্রতিক্রিয়া এই অবস্থা তৈরী হয়। সাধারণত এটার ট্রিগার ফ্যাক্টর পাওয়ার ১ মিনিট থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে এই অতিপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। ট্রিগার ফ্যাক্টরগুলোকে আমরা এলার্জেন বলে থাকি এবং এই সমস্যা এলার্জির সমস্যা বলে আমাদের সমাজে প্রচলিত।
কারণ/ট্রিগার ফ্যাক্টর সমূহ
-পোকামাকড়ের কামড়
-বাদাম
-দুগ্ধজাত খাবার
-সামুদ্রিক খাবার
-কিছু ঔষধ, যেমন: এন্টিবায়োটিক
লক্ষণসমূহ
-শরীরে বিভিন্ন অংশ লাল হয়ে ফুলে যাওয়া
-হঠাৎ চোখ,ঠোঁট, হাত কিংবা পা ফুলে যাওয়া
-হঠাৎ ঝিমুনিভাব কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাবে এমন লাগা
-শ্বাসকষ্ট অনুভূত হওয়া
-পেট ব্যাথা কিংবা বমি হওয়া
-হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।
রিস্ক গ্রুপ
যাদের এজমার সমস্যা আছে কিংবা এলার্জির সমস্যা আছে।
করণীয়
– হঠাৎ এমন ঘটনার সম্মুখীন হলে রোগীকে বাম কাত করে রাখা এবং দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।
-যাদের পূর্বে এমন ঘটনার ইতিহাস আছে,সবসময় ট্রিগার ফ্যাক্টরগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন ও ঔষধ সেবন করতে হবে।