একটি কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) হল একটি রক্ত পরীক্ষা যা করা হয় রক্তের বিভিন্ন সেলের মাত্রা চেক করার জন্য। এই টেস্টের মধ্যে করতে হয় শ্বেত কণিকা, লোহিত কণিকা আর প্লাটিলেটের পরিমাপ। এসব পরিমাপ করা হয় নানা কারণে কিছু উপসর্গ অনুধাবন, বা রোগ নির্ণয়ের জন্য।
কী খবর পাওয়া যাবে এই পরিমাপে?
শ্বেত কণিকা (WBC)
শ্বেত কণিকা আমাদের দেহকে রক্ষা করে বাহিরের আক্রমণ থেকে, ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এমন কি ক্যান্সার কোষ চিহ্নিত করে এদের ধ্বংসের মুখে আনা। এই পরিমাপে সব ধরনের শ্বেত কণিকার পরিমাণও জানা যায়। শ্বেত কণিকার মোট গণনা থাকা উচিত ৪০০০-১১০০০ সেল/ মাইক্রো লিটার।
লোহিত কণিকা (RBC)
এদের একটি প্রধান কাজ হল শরীরে কোষে কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা। সিবিসি করলে বোঝা যায় এ কাজটি কত কার্যকরভাবে চলছে।
লোহিত কনিকার প্রমিত মান মাত্রা হল
লোহিত কণিকা গননা
৪.৭ – ৬.১ মিলিয়ন / মাইক্রোলিটার। (পুরুষ )
৪.২-৫.৪ মিলিয়ন / মাইক্রোলিটার । (মহিলা)
হিমোগ্লোবিন
১৩.৮- ১৭.২ গ্রাম / ডিএল (পুরুষ )
১২.১-১৫.১ গ্রাম / ডিএল (মহিলা)
হেমাটোক্রিট
৪০.৭-৫০.৩ শতাংশ (পুরুষ )
৩৬.১- ৪৮.৩ শতাংশ (নারী )
এমসিএইচসি
৩২-৩৬ গ্রাম/ডেসি লিটার
এমসিভি
৮০-৯৫ ফেমটো লিটার
এমসিএইচ
২৭-৩১ পাইকোগ্রাম / সেল
প্লাটিলেট কাউন্ট
প্লাটিলেটের কাজ রক্তের তঞ্চনপিণ্ড বা ক্লট তৈরি করে যাতে আহত হয়ে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করে। এর পরিমান হল ১,৫০,০০০-৪,০০,০০০/ ডিএল।
অস্বাভাবিক বক্ত কণিকা গণনা আর ক্যান্সার চিকিৎসা
সিবিসি পরিমাপ করার অনেক অনেক কারণ আছে। ক্যান্সার চিকিৎসার সময় চিকিৎসা দেবার আগে একবার গণনা আর চিকিৎসার সময় বার বার গণনা। কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষে কোষ বিভাজন ব্যাহত করে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অস্থিমজ্জায় দ্রুত বিভাজমান কোষের উপরও প্রভাব ফেলে। হতে পারে অস্থিমজ্জা দমন।
কেমো দেবার সময় শ্বেত কণিকার গণনা কম হলে হয় কেমো ইনডিউসড নিউট্রোপেনিয়া।
লোহিত কণিকা কম হতে পারে (রক্তাল্পতা)। হতে পারে প্লাটিলেট কম (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া)।