প্রেগন্যান্সি বা গর্ভকালীন সময় সাধারণত ৪০ সপ্তাহের হয়ে থাকে, কারো ক্ষেত্রে এর চেয়ে কম এবং কারো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি হতে পারে। জরায়ুতে ডিম্বাণু আর শুক্রাণু মিলে জাইগোট তৈরী হবার পর থেকে মা এবং গর্ভে থাকা সন্তানকে বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই পুরো জার্নিটাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
১)ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার
২)সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার
৩)থার্ড ট্রাইমেস্টার।
মোটামুটি তিন মাস সময় নিয়ে একেকটা ট্রাইমেস্টার হয়। প্রত্যেক ট্রাইমেস্টারের কিছু আলাদা আলাদা লক্ষণ থাকে।
প্রথম ট্রাইমেস্টার
সাধারণত শেষ মাসিকের প্রথম দিন কে গর্ভাবস্থার প্রথম দিন হিসেবে গণনা করা হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রথম ১৪ দিন আদতে মায়েরা গর্ভবতী থাকেন না। এই সময় মায়েদের ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে দেয়া হয়। ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত মায়েদের এই ট্যাবলেট খেতে বলা হয়।
প্রেগন্যান্সীর শুরুতে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন : সকালে উঠেই বমি বমি ভাব হওয়া, ক্লান্ত বোধ করা, হঠাৎ কোন খাবার খাওয়ার তীব্র ইচ্ছে এবং মুড সুইং।
গর্ভাবস্থায় শরীরে বেশ কিছু হরমোন নি:সৃত হয়, প্রেগন্যান্সী কিটের মাধ্যমে এসব শরীরে এসব হরমোনের উপস্থিতি পাওয়া গেলে নিশ্চিত হওয়া যায় আপনি প্রেগন্যান্ট!! তবে প্রেগন্যান্সী টেস্ট পজিটিভ আসলেও অনেক সময় আপনি প্রকৃতপক্ষে প্রেগন্যান্ট নাও হতে পারেন।
প্রথম ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যেই প্রথমবার ডাক্তার দেখানো ভালো। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চেক-আপ করাতে যেতে হবে এবং যে কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে ডাক্তারকে জানাতে হবে।
এই সময় মা-বাবা দুজনেরই সঠিক খাদ্যাভাস এবং জীবন-যাপনের রীতি মেনে চলতে হবে। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে পাশাপাশি নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে।