গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়া কিংবা হজমে সমস্যা একটি নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যা। সাধারণত লহরমোনের পরিবর্তন কিংবা বাচ্চার বড় হবার কারণে পাকস্থলীতে চাপ পড়ার কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।তবে সঠিক খাদ্যাভাস,সঠিক নিয়মে জীবনযাপন এবং কিছু ওষুধ সেবন (যেসব ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ) এই সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়া কিংবা হজমে সমস্যা কেন হয়
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে হরমোনের পরিবর্তন কিংবা জরায়ুতে বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধির জন্যে পাকস্থলীতে চাপ পড়ার কারণে এই সমস্যার উৎপত্তি হয়।এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে খাদ্যনালীর নিচের অংশ অনেকটাই রিল্যাক্সড অবস্থায় থাকে যার কারণে পাকস্থলীর অম্লীয় পদার্থ খাদ্যনালী তে উঠে আসে।
**কি কি উপসর্গ দেখা দিতে পারে :
১)বুক জ্বালাপোড়া কিংবা বুকে ব্যথা
২)খাবার পর শরীর অতিরিক্ত ভারী বোধ করা
৩)ঢেঁকুর আসা
৪)অসুস্থ বোধ করা
৫)খাদ্য গ্রহণের পর তা পুনরায় খাদ্যনালী তে উঠে আসা।
এই সব উপসর্গ সাধারণত খাবার গ্রহণের ঠিক পরপরই দেখা দেয়।গর্ভাবস্থায় যে কোন সময় এইসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তবে ২৭ সপ্তাহের পর থেকে সাধারণত বেশি দেখা দেয়।
করণীয়
গর্ভাবস্থায় যে কোন সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যার তীব্রতা কিছুটা এড়ানো যায়। যেমন :
- এই সময় যে কোন খাবারের প্রতি অনেক আগ্রহ জন্মায়।তবে যে কোন খাবার ই একেবারে অধিক পরিমাণে খাওয়া যাবেনা,অল্প পরিমানে বারে বারে খেতে হবে।ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘন্টা আগে খাওয়া শেষ করতে হবে।অতিরিক্ত ঝাল এবং মশলাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।পাশাপাশি চা-কফি পান ও কমানো উচিত।
- খাওয়ার সময় সোজা হয়ে বসে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।খাওয়ার পরপরই শুতে যাওয়া যাবেনা এবং শোওয়ার সময় মাথার দিক অবশ্যই উপর করে রাখতে হবে যাতে করে পাকস্থলীর খাদ্যদ্রব্য খাদ্যনালীতে উঠে আসতে না পারে।
- কারো ধূমপান কিংবা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে গর্ভাবস্থায় অবশ্যই তা পরিহার করতে হবে।
- পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ কোনভাবেই বন্ধ করা যাবেনা।