অনেকে বই পড়েন না কারণ কী বই পড়বেন এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এমন না যে তারা বই পড়ার গুরুত্ব বুঝেন না। এজন্য সমাধান হলো:
১. নিজের ভালো লাগার বিষয়ে বই পড়া।
কারো যদি উপন্যাস গল্প পড়ে ভালো লাগে সে তা-ই পড়বে। আমার বায়োগ্রাফি, বিজনেস, ফিন্যান্সের বই ভালো লাগে। এসব নিয়েই সব সময় কথা বলি।
২. নিজের চাহিদা বা সমস্যা অনুযায়ী বই নির্বাচন করা।
**আপনার টাকা পয়সা ম্যানেজ করতে সমস্যা, পারেন না। এ বিষয়ের বই খুঁজে পড়া শুরু করেন। কোন না কোন ইনসাইট পাবেন, পথ দেখবেন।
**ইমেইল লিখতে পারেন না? অনেক বই ভিডিও, ম্যাটেরিয়াল আছে।
কোন বিষয়ে আগ্রহ থাকলেই হবে। বাকিটা নিজেই খুঁজে নিতে পারবেন। best books for personal finance গুগল করলে দেখবেন সেরা বইটি পেয়ে গেছেন।
৩. পছন্দের ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল ফলো করা।
বই নিয়ে অনেকে সুন্দর সুন্দর কন্টেন্ট বানান। ফলো করতে পারেন। সেখানে নতুন বইয়ের সন্ধান পাবেন, আপনার মন মানসিকতার সাথে মিলে এমন একটা কমিউনিটি পাবেন।
৪. বইয়ের পেইজ, গ্রুপ, ওয়েবসাইটে ভিজিট করা।
এতে কী হয়! আপনার অজান্তেই ভেতরে ভেতরে একটা বইয়ের দুনিয়া গড়ে ওঠে। প্রিয় লেখকের কোন বই এলে দেখবেন সবার আগে আপনি জানলেন, দারুণ ব্যাপার। প্রতিদিন কত সুন্দর সুন্দর বই আসে, কাভার দেখলেই মন ভরে যায়।
৫. কোন বই পছন্দ না হলে
কোন একটা বই পছন্দ না হলেও জোর করে পড়া একদম ঠিক না। পছন্দের ব্লগ/ রিকমেন্ডেশন দেখে বই শুরু করলে সব সময় আমাদের মনের সাথে নাও মিলতে পারে। সবার পছন্দ এক হবে কথা নেই। মুভির ক্ষেত্রেও এমন হয় দেখবেন। এজন্য আমরা কিন্তু মুভি দেখা ছেড়ে দিই না। বরং নতুন আরেকটা মুভি দেখি। কোন বিষয়ে একটা বই ভালো না লাগলে, সে বই/বিষয় স্কিপ করে নতুন বই শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ। ক্ষেত্র বিশেষে বিরতি দেয়া উচিত। কঠিন বই হলে আমার অবশ্য ঘুম আসে।
৬. অল্প অল্প করে আগানো।
একদিনে বিশাল কিছু করে ফেলবেন, খুব পড়বেন, দিনে একটা বই শেষ করবেন এমন অসম্ভব টার্গেট নিলে মানসিক চাপ বাড়ে। বইপড়া আর হয় না। প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়লে একসময় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।
৭. টাইম ব্লক রাখা
বইপড়ার অভ্যাস হঠাৎ একদিনে গড়ে ওঠে না। এজন্য প্রতিদিন একটা সময় বইয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা গেলে ভালো। এ সময় কোন ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, বা অন্যকোন ডিস্ট্রাকশন থেকে দূরে থাকা ভালো। সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে হতে পারে উপযুক্ত সময়।
লেখা: ড. ওমর ফারুক
১৬ জানুয়ারি ২০২৩