চারপাশের ছুটতে ছুটতে আমরা ভুলে যাই কিসের পিছে ছুটছি। লক্ষ্য উদ্দেশ্যহীন ছুটে চলায় এডভেঞ্চার আছে অবশ্য কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হয়। পরীক্ষা, ক্যারিয়ার এসবের বাইরেও টুডু লিস্ট থাকতে পারে। সবই লক্ষ্য, হোক সে ছোট কিংবা বড়। সেসব লক্ষ্য পূরণের পূর্বশর্ত লেগে থাকা, মনোসংযোগ ধরে রাখা। ব্যায়াম একদিন করলেই যেমন দৃশ্যমান পরিবর্তন হয় না। কোন বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস একদিনে গড়ে উঠে না। মনোযোগ দেয়ার চর্চার দৃশ্যমান সুফল পেতে হলে চাই সাধনা। এজন্য লেগে থাকতে হয়। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
১। মাল্টিটাস্কিংকে না বলুন
মাল্টিটাস্কিং করলে মনে হয় বেশি কাজ করছি। সত্যি হলো, একাধিক কাজ করতে গেলে কাজের কোয়ালিটি কমে যায়, একই কাজ যা দশমিনিটে করা যেত এজন্য ২০ মিনিট বা ৩০ মিনিটও লাগতে পারে। পাশাপাশি একাধিক কাজ করার কারণে ছোটখাটো ভুল হয়ে যেতে নিজের অজান্তে।
এ তো গেল কাজের কথা। কিন্তু সরাসরি বা ফোনে কথোপকথনের সময়, এমনকি ম্যাসেজ আদানপ্রদানের সময়ও শুধু একজনের সাথে সক্রিয় থাকলে মনোসংযোগ ভালো হয়।
আরেকটা কাজ আমরা করি, কথা বলছি সাথে সোশাল মিডিয়ায় স্ক্রল করছি। এসবে মন বিক্ষিপ্ত হয় সহজে। আপনি না বুঝলেও অপরপ্রান্তে যার সাথে কমিউনিকেট করছেন তিনি বুঝতে পারবেন আপনি কথোপকথনে মনোযোগী নন।
২। অল্পতে তুষ্ট থাকুন
তথ্যপ্রবাহের মহামারিতে টিকে থাকার টিকা হলো অল্পতে তুষ্ট থাকা। আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী ঠিক করুন কোন কোন সোর্স থেকে তথ্য নিতে হবে। এরপর পড়ুন, দেখুন চর্চা করুন। অপ্রয়োজনীয়, কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যাচাই বাছাই করে বাদ দিন। বেশি সোর্সের পিছে ছুটতে গেলে দেখা যাবে আসল কাজটাই হলো না।
৩। কাজের পরিবেশে আনুন মিনিমালিজম
কাজের পরিবেশ যত নির্ঝঞ্ঝাট হবে মনোযোগ দেয়াও তত সহজ হবে। খেলা দেখার সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন যেমন আমাদের মনোযোগ কেড়ে নেয় তেমনি চারপাশে বইয়ের স্তূপ, ছড়ানো ছিটানো কাগজপত্র, অপ্রয়োজনীয় জিনিস থাকলে মনোসংযোগ ব্যাহত হয়, বিশেষ করে ভিজুয়াল ফিল্ডের মধ্যে পড়লে। মিনিমালিজম হলো ঠিক ততটুকুই রাখুন যতটুকু কাজের জন্য প্রয়োজন।