আমাদের দাওয়াতে , নিমন্ত্রণে চর্বি, তেল, মিষ্টি, চিনি, নুন, রেড মিট, ভাজা পোড়া এসব এখনও আমাদের আহার সংস্কৃতিতে থাকায় আর অনেক সময় একে এড়াতে না পারায় কিছু কলাকৌশল অবলম্বন করে স্বাস্থ্য রক্ষার কিছু পরামর্শ। একে পালন করতে হবে এমন নয় তবে নিজের দিকে খেয়াল নিলে একে একেবারে অগ্রাহ্য করার উপায় নাই। দাওয়াতে, নিমন্ত্রণে উচ্চ চর্বি, তেল, সুগার, নুন, রেড মিট খাবার খেতে গিয়ে আপনার স্বাস্থ্য রক্ষার কারণে ভদ্রতা বজায় রেখে এড়াতে চাইলে:
১। দাওয়াতে আসার আগে পেট ভরে খেয়ে আসুন তাহলে আহারের ইচ্ছা কমবে।
২। তা না করতে পারলে আহারের পূর্বে দুই গ্লাস পানি পান করুন, ক্ষুধা কমবে।
৩। আপনি আহারে কাঁটা চামচ ব্যবহারের সুযোগ থাকলে তা করুন। এতে খাওয়া মুখে কম যাবে।
৪। ২০ মিনিট লাগিয়ে খান তাহলে আহার কম হবে কিন্তু পেট ভরতি হবে।
৫। পরিমাণে পাতে কম নিন।
৬। পুরো হাত ব্যবহার না করে আঙ্গুল ব্যবহার করে খান চানাচুর খাওয়ার মতন।
৭। দাওয়াতে আজকাল আহারের স্থানে টেবিল চেয়ার সাজানো থাকে সেখানে না বসে বিবাহ মঞ্চের সামনে সাজানো চেয়ারে বসুন। এরপর সবার সাথে দেখা হবার পর এক ফাকে বেরিয়ে আসুন।
৮। উৎসবে প্যকেট দিলে তা নিয়ে আসুন, অন্যকে দিন।
৯। নিতান্ত আত্মীয় না হলে বা আপনি একজন ভিআইপি না হলে খাবার জন্য তেমন কেউ অনুরোধ করেন না। এমন পরিস্থিতি হলে এড়ানো সম্ভব ।
উপরের কলাকৌশল অনেকের পছন্দ না হতে পারে। যারা যুবক, সুস্থ এরা খাবেন তবে পরিমিত। সবাই বাসা থেকে খেয়ে দাওয়াতে আসুন তা না হলে খাওয়া খুব বেশি হয় যা সুস্থ অসুস্থ সবার জন্য খারাপ। কিন্তু যারা অসুস্থ নানা ক্রনিক অসুখে ভুগছেন এরা স্বাস্থ্য রক্ষার কারণে খাবেন খুব কম। উপরের কৌশল অবলম্বন করে বা না খেয়ে সৌজন্য রক্ষা, সাক্ষাত করে চলে আসবেন।
চা কফির বন্দোবস্ত থাকলে অগত্যা এক কাপ গরম পানিয় পান করতে পারেন তবে সোডা পান নয়। অবশ্য এই কৌশল বা পন্থা পছন্দ না হলে অনুসরন করবেন না। তবে স্বাস্থ্যই সম্পদ এমন বিবেচনায় তা কর্তব্য। আর অসুস্থ হলে অনেক খরচ আর প্রাণের আশংকা থাকতে পারে।
আরেকটি কথা দাওয়াতে, উৎসবে স্যালাড, বোরহানি, আচার না খাওয়া উত্তম, মাস ক্যাটারিং হলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। বাইরের খাবার অনেক বাধ্য হয়ে খান কিন্তু সংক্রমণ হতে পারে।
অনেক সভ্য দেশের মত এখানে রেস্তোরা আর বাইরের ফুডের কড়া সেনিটারি নজরদারি নেই আর ধরা পড়লে সামান্য জরিমানা দিয়ে রেহাই থাকাতে খুব নিরাপদ আহার বাইরে করা কঠিন। পথে, নিজে শুকনা খাবার, ফল বোতলে পানি নিয়ে ভ্রমণ ভাল।
আপনি রেস্তরার কিচেন ভিজিট করলে অনেক সময় নিজে থেকেই খাওয়ার ইচ্ছা কমবে আর স্ট্রিট ফুডের কথা আর বলতে চাই না। বিরল ব্যতিক্রম থাকতে পারে, জানা নাই। তবে এমন না যে বাইরে খাবেন না, খাবেন রয়ে সয়ে দেখে বুঝে, কম করে কালে ভদ্রে, কদাচিৎ, উপরোধ বা অনুরোধে।