শুধু আনন্দ লাভের জন্য বই পড়ার অভ্যাস সবার হয় না। গল্প উপন্যাস হয়তো ঠিক আছে। ননফিকশন বা সিরিয়াস বই শুধু পড়লেই হয় না, এমনভাবে পড়তে হয় যাতে ভবিষ্যতে কাজে আসে। মনে রাখা, মনের মত করে তথ্যকে সাজানো, ভবিষ্যতে প্রয়োজনে যেন দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় এজন্য কিছু কৌশল আছে। সব সবার উপযোগী হবে এমন না, আপনার নিজেরও আলাদা কৌশল থাকতে পারে।
১। গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হাইলাইট করে রাখা
পড়ার সময় পেন্সিল বা মার্কার থাকলে ভালো। সব বই হাইলাইটের প্রয়োজন নেই। যেমন গল্প, উপন্যাস অনেকেই একবার পড়েন। ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার পড়ার সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে হাইলাইট করতে গিয়ে পড়ার আনন্দ নষ্ট করা, সময় অপচয় করার দরকার নেই। থ্রিলার, ঢাউস সাইজের বইয়ের ঘটনা, চরিত্র মনে রাখতে অনেক সময় হাইলাইট করার প্রয়োজন হতে পারে। কোন উক্তি পছন্দ হলে অনেকে হাইলাইট করে রাখেন। আপনারা আছেন বলেই আমাদের মত পাঠক অনেক কোটেশন পাই, সাধারণ চোখে হয়তো ধরাই পড়ত না।
২। কী বুঝলেন নোট রাখুন
- পড়তে পড়তে যে কথাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে এর সংক্ষিপ্ত একটা নোট রাখুন নিজের ভাষায়। এতে কী হবে, আপনি কতটুকু বুঝলেন তাও যাচাই হয়ে গেল।
- পড়তে গেলে মাথায় নতুন আইডিয়া আসলে লিখে রাখুন, পুরনো কোন ঘটনার সাথে তুলনা করেও নোট রাখতে পারেন।
৩। ফিরে আসা
বইপড়ার উদ্দেশ্য বুঝতে পারা, এক বারে সব বুঝে যাবেন এমন না। সপ্তাহে একদিন নতুন পড়ায় সময় না দিয়ে পুরনো বইয়ের পাতা উলটাতে পারেন। যেসব বিষয় আগে বুঝেননি দেখবেন এখন বুঝতে পারছেন। প্রতিবার নতুন কিছু জানলে দেখবেন নিজের ভেতর এক ধরনের সুখ অনুভূত হয়, আরে আগে খেয়াল করিনি তো! পুরনো বই পড়া আরেকটা দিক হলো আগে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন এবার নতুন সময়, নতুন করে ভাবনা আসবে। জানা বিষয় নতুন করে দেখলে ভিন্ন এঙ্গেলে দেখবেন নিজের মাঝে পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। নিজের জানাশোনার পরিধি, সীমাবদ্ধতা ধরা পড়লে দেখবেন একসময় জ্ঞান আপনাকে বিনয়ী করে তুলবে।
৪। শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়ায়, রিডিং পার্টনারের সাথে আলোচনা করুন
বই আলোচনায় যুক্ত হলে ওই বিষয়ে আপনার জানাশোনা আরও পাকাপোক্ত হবে। নতুন নতুন বইয়ের সন্ধানের জন্যও এ আলোচনাটা গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে কমেন্ট করে বসবে, সব ক্রিটিক্যালি মোকাবিলা করা শিখবেন। কথা চালাচালি করতে করতে পেয়ে যাবেন আপনার রিডিং পার্টনার। ওই বিষয়ের অভিজ্ঞরাও কমেন্ট করলে দেখবেন নতুন দুনিয়া খুলে যাবে।