জন্ম-মৃত্যুর মত রোগব্যাধিও আমাদের জীবনের অনুষঙ্গ। শতভাগ সুস্থতা বলতে কি কিছু আছে! এমন মানব জনম নেই। সবাইকেই এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। রোগ বালাই নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা, পরিবার ও সমাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সবারই নিজস্ব ধ্যানধারণা গড়ে ওঠে। এসব ধারণার কিছু ঠিক, কিছু ভুল। সঠিক ধারণার অভাবে ভুলের মাশুল দিতে হয় অনেককে। সে মাশুল কখনো জীবন দিয়ে দিতে হয়, কখনো বরণ করে নিতে হয় পঙ্গুত্ব। উচ্চ রক্তচাপ, সাধারণভাবে হাই প্রেসার বা হাইপারটেনশন (Hyper=বেশি, Tension=চাপ, এক্ষেত্রে রক্তচাপ) নিয়েও সমাজে কমবেশি ভুল ধারণা (মিথ) প্রচলিত আছে। এখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেসব মিথ প্রায়শ দেখা যায় সেসব তুলে ধরা হলো। এর বাইরেও ব্যক্তিগত, আঞ্চলিক মিথ থাকতে পারে। কোন সন্দেহ থাকলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
১৪০/৯০ এর বেশি হলেই হাই প্রেসার
একেক জনের জন্য স্বাভাবিক রক্তচাপ একেক রকম। বিভিন্ন বয়সের জন্য স্বাভাবিক রক্তচাপ বিভিন্ন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীতে জেনেটিক্স, নারীপুরুষ ও বয়স ভেদে স্বাভাবিক রক্তচাপে ভিন্নতা দেখা যায়। তাই লোকমুখে শুনে সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রফেশনাল কারো সাথে আলাপ করে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিশেষ করে যাদের শরীরে বিভিন্ন ক্রনিক রোগ বাসা বেঁধেছে তাদের জন্য ১৪০/৯০ সংখ্যাটি সঠিক নাও হতে পারে।
যেমন কারো ডায়াবেটিস, হৃদরোগ থাকলে তার জন্য ১৩০/৮০ এর বেশি হলেই উচ্চ রক্তচাপ। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, স্ট্রোক-সহ এরকমভাবে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি চিকিৎসারই অংশ।
উচ্চ রক্তচাপ শুধু বড়দের হয়
বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধে এ সত্য। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। তবে এটি সত্য নয় যে উচ্চ রক্তচাপ শুধু বড়দের হয়। শিশুদেরও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, একে মেডিকেলের পরিভাষায় পেডিয়াট্রিক হাইপারটেনশন (Pediatric Hypertension, Pedi=Child, Hypertension=High Blood Pressure)। আমেরিকার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সে দেশের ৪.৫% শিশুদের আছে উচ্চ রক্তচাপ। সাম্প্রতিক আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে ১৫% এরও বেশি কিশোর-কিশোরীদের আছে অস্বাভাবিক রক্তচাপ। [১]
প্রেসার বাড়লে টের পাওয়া যায়
আমেরিকাতেও প্রতি ৩ জনে ১ জন, মানে প্রায় ৩৩% জানেন না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। কারণ উচ্চ রক্তচাপের অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ থাকে না। উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় নীরব ঘাতক কারণ কোন লক্ষণ ছাড়াই নীরবে এ রোগ আপনার সর্বনাশ করে দিতে পারে। টেরই পাবেন না কখন উচ্চ রক্তচাপ বাসা বাঁধবে শরীরে। এজন্য চাই নিয়মিত চেক আপ। এখন প্রেসার চেক করা খুব সহজ। পাড়া মহল্লার প্রায় সব ফার্মেসিতেই প্রেসার মাপার মেশিন থাকে। বললে মেপে দেয়। এছাড়া সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতালে গিয়েও মাপতে পারেন। অনেকের বাসায়ও ব্যবস্থা রাখেন, এ ভালো। তবে সঠিকভাবে প্রেসার মাপাও এক আর্ট, একে রপ্ত করতে হয়। এ নিয়ে আরেকটি লেখা লিখব, কীভাবে সঠিক উপায়ে রক্তচাপ মাপবেন। [২]
লক্ষণ থাকলেই কেবল ওষুধ খেতে হয়
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ সব সময় থাকে না। তাই আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মনে হলেও প্রেসার বাড়তি থাকতে পারে। নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত নিজ ইচ্ছায়, ফার্মেসি বা অন্য কারো পরামর্শে ওষুধ বন্ধ করে দেয়া উচিত নয়। এমনকি পরিবর্তন করাও ঠিক নয়। ওষুধ হলো গাড়িতে ব্রেক চাপার মতো, ব্রেক তুলে ফেললে গাড়ির মতো প্রেসারও গতি হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই লক্ষণ থাকুক আর না-থাকুক এ নিয়ে না ভেবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে এবং নিয়মিত প্রেসার চেক করতে হবে।
প্রেসারে থাকলেই কেবল প্রেসার বাড়ে, আমার কোন টেনশন নাই, প্রেসার হবে কীভাবে?
প্রেসারে থাকা বলতে আমরা বুঝি কেউ স্ট্রেসে বা মানসিক চাপে আছেন। আবার প্রেসার বাড়া বলতে বুঝি উচ্চ রক্তচাপ। এটা সত্য যে স্ট্রেসে থাকলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি আছে কিন্তু স্ট্রেস ছাড়াও নানা কারণে প্রেসার বাড়তে পারে। পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস থাকলে (জেনেটিক্স), বয়স বাড়ার সাথে সাথে এমনকি কিছু রোগের সাথেও প্রেসার বাড়ার সম্পর্ক আছে।
লবণ ছাড়া ভাত খেয়ে মজা পাই না
পাতে লবণ খাওয়া এ অঞ্চলে খুব প্রচলিত। আগে প্রতিবেলায় গরম ভাত সবার কপালে জুটত না। পান্তা ভাতের সাথে লবণ, মরিচ আটপৌরে জীবনের অংশ ছিল। এ ছাড়াও ছোটবেলায় হোটেলে দেখেছি প্রতি টেবিলে লবণদানি রাখতে। ভাত খাওয়ার সময় কয়েক চিমটি নয় বেশ ভালো পরিমাণে লবণ মাখিয়ে খেতে। এই অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাসের সাথে লবণ কিভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেল এ নিয়ে গবেষণা হতে পারে। আধুনিক গবেষণা বলে এ অভ্যাস খুব অস্বাস্থ্যকর। যেকোন অভ্যাসের মত এ অভ্যাসও ছাড়া খুব শক্ত। বিশেষ করে যখন এই সাদা বিষ সস্তা, সহজলভ্য ও রান্নাবান্নার আবশ্যিক অনুষঙ্গ।
লবণ ছাড়ার অভ্যাস কিভাবে করবেন?
কোন অভ্যাস ছাড়ার জন্য ধীরেসুস্থে পরিমাণে কমানোর কথা বললেও লবণের ক্ষেত্রে এরকম সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে। এখানে ধীরেধীরে ছাড়ার সুযোগ নেয়া ঠিক হবে না। অল্প পরিমাণ লবনও প্রেসারে ভালো পার্থক্য আনতে পারে।তাই ছাড়তে হলে আজই ছাড়ুন।
এতদিনের অভ্যাস, তাই শুরুতে খাবারের স্বাদ কম লাগতে পারে। কিন্তু সপ্তাহ খানেক, সর্বোচ্চ মাস খানেকের মধ্যে লবণ ছাড়াই ভালো লাগবে।
লবণ খাওয়ার সময় মনে রাখবেন
★উচ্চ রক্তচাপ প্রাথমিক পর্যায়ের হলে লবণ ছাড়লে ও জীবনযাপনে অন্যান্য পরিবর্তন আনলে হয়তো কোন ওষুধ ছাড়াই প্রেসার স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসতে পারে।
★ লবণ না ছাড়লে শুধু ওষুধ খেলে প্রেসার বাড়তিই থেকে গেল। সে বাড়তি প্রেসার কমানোর জন্য অপ্রয়োজনে বাড়তি ওষুধ নেয়ার কী দরকার, প্রতিটি ওষুধের কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
★ বাড়তি লবণ মানে বাড়তি প্রেসার। এ থেকে স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি রোগ। লবণ ছাড়লেই এসব রোগ প্রতিরোধে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।
পাতে লবণ খাই না, তরকারিতে একটু বাড়তি দিই
এ হলো দুষ্টবুদ্ধি। নিজেকে নিজে ফাঁকি দেয়া। লবণ যেভাবেই গ্রহণ করেন না কেন তা লবণই। উদ্দেশ্য বাড়তি লবণ না খাওয়া। পাতে না নিয়ে তরকারিতে নিলে একই কথা হলো। এ ছাড়া যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে যেমন আচার, চানাচুর, পাউরুটি, বিভিন্ন ফাস্টফুড সেসবও সমান ক্ষতিকর।
লবণ ভাজা বা ফ্রাই বা গরম করে নিলে দোষ থাকে না, খাওয়া যায়
এ কথার উৎস হলো স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য আমরা যখন বলি কাঁচা লবণ খাবেন না তখন লোকজন ভাবে গরম করে নিলে লবণ বোধ হয় আর কাঁচা থাকে না। এজন্য গ্রামাঞ্চল ও মফস্বলে এমনকি যারা লোকমুখে শুনে তথ্য নেন তাদের মাঝে দেখা যায়, লবণ ফ্রাই করে আলাদাভাবে রাখেন ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য। এভাবে লবণের গুণগত কোন পরিবর্তন ঘটে না বলে প্রেসার বাড়াতে সমান ভূমিকা রাখে।
চা, কফি প্রেসার বাড়ায়
চা কফি গ্রহণ করলে সাময়িক প্রেসার বাড়ে এ সত্য। বরং এক দুই কাপ চা কফি ব্রেইন ও হার্টের জন্য উপকারী হতে পারে। চা কফিতে লবণ ও চিনি মিশিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রেসার পুরুষের রোগ
পঞ্চাশের কম বয়সী পুরুষদের মাঝে নারীদের তুলনায় উচ্চ রক্তচাপ থাকার সম্ভাবনা বেশি। নারীদের ক্ষেত্রে পঞ্চাশের আগে উচ্চ রক্তচাপ কম পাওয়া যাওয়ার কারণ বিভিন্ন হরমোন এ সময়ে (reproductive age) সুরক্ষা দেয়। পঞ্চাশের পর নারী আর পুরুষে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা সমান। তাই প্রেসার শুধু পুরুষের রোগ এ ধারণা সঠিক নয়।
আমার বাবা-মা’র প্রেসার আছে, আমারও হবে। এসব নিয়ম মেনে কী হবে!
বাবা-মা বা নিকটাত্মীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনারও হবার ঝুঁকি থাকে। এর মানে এই না যে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কোন সুফল পাবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নাও হতে পারে। বরং জীবনযাপনে অনিয়ম হলে আপনার বাবা-মা’র এ রোগ না থাকলেও আপনার হয়ে যেতে পারে। কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ ধরার পড়ার সম্ভাবনা কমাতে তাই স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণের বিকল্প নেই।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সারাজীবন একই ওষুধ খেতে হয়
আমাদের দেশে একান্ত প্রয়োজন না হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন না লোকে। নিয়মিত চেক আপও যে চিকিৎসার অংশ ভুলে যান অনেকে। বিশেষ করে যাদের শরীরে নানা ক্রনিক রোগ রয়েছে তাদের জন্য নিয়মিত চেকআপ জরুরী। এমন একজন রোগী পেলাম যিনি পাঁচ ছয় বছর ধরে একই ওষুধ গ্রহণ করছেন, কখনো বাড়লে এক সাথে ডাবল ডোজ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, কখনো এক গ্লাস তেঁতুলের শরবত খান খারাপ লাগলে। এমন হলে কি হয়! ভারী বিপদ হতে পারে যেকোন সময়।
উচ্চ রক্তচাপের একই ওষুধ চলবে কিনা, ডোজ কমবেশি করার প্রয়োজন আছে কিনা বা আগের ওষুধ পরিবর্তন করে নতুন ওষুধ দেয়া হবে কিনা এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন ডাক্তার। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে চিকিৎসা করতে হবে, এতে গড়িমসি করলে হবে না। এখানে মনে রাখতে হবে ওষুধই একমাত্র চিকিৎসা নয় বরং চিকিৎসার অংশ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সাথে চিকিৎসা, পাশাপাশি অন্যান্য রোগ থাকলে সেসবও বিবেচনা করে ওষুধ দিতে হয়। ওষুধ খেলাম আর জীবনাচরণে খামখেয়ালী করলাম তা হবে না।
উচ্চ রক্তচাপ কোন পর্যায়ে আছে এবং সাথে অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, হার্টের রোগ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ডাক্তার নির্ধারণ করবেন। নিজে নিজে বা অন্য কারো প্ররোচনায় কখনো এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না।
তেঁতুল খেলে প্রেসার কমে যায়, ওষুধ খেতে হয় না
এটা খুব প্রচলিত ভুল ধারণা। অনেকে ওষুধ বাদ দিয়ে তেঁতুলের গুণগান করেন। তেঁতুল অন্যান্য ফলের মতই একটি ফল, এর বিভিন্ন উপকারি দিক আছে নিশ্চয় কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার বিকল্প তেঁতুল নয়। তেঁতুল ফল হিসেবে বা শরবত বানিয়ে খেতে পারেন প্রচুর ভিটামিন আছে কিন্তু প্রেসারের ওষুধ নেই এতে। অনেকে তেঁতুলের শরবত সুস্বাদু করার জন্য সাথে লবণ দেন। এতে প্রেসার বাড়ে, কমে না।
প্রেসার অন্যান্য রোগের মতই একটি সাধারণ রোগ, চিন্তার কিছু নেই
প্রেসার সর্দিকাশির মত সাধারণ রোগ নয়, অবস্থা বেগতিক হলে উচ্চ রক্তচাপ প্রাণঘাতী হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা না নিলে কী হবে এ নিয়ে বিস্তারিত এ লিংকে পাবেন। সংক্ষেপে বলি রাখি, আকস্মিক হার্ট এটাক, স্ট্রোক, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এসব রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা।
প্রেসারের স্থায়ী চিকিৎসা আছে
ডায়াবেটিসের মত উচ্চ রক্তচাপের স্থায়ী কোন চিকিৎসা নেই, এমন কোন ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি যা গ্রহণ করলে প্রেসার চিরদিনের মত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে নিয়মিত চেক আপ, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে স্বাভাবিক রাখা যায়।
প্রেসার কোন বংশগত রোগ নয়, সবার এমনিই হয়
বংশের কারো প্রেসার না থাকলেও অন্যান্য কারণেও (কিছু রোগ, কিছু জীবনযাপনে অনিয়ম) উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। পরিবার ও বংশ ধারায় কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনারও এতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবারের মধ্যে শুধু লবণ কম খেলে হয়
লবণ ছাড়াও চর্বি বেশি খেলে, খাদ্যাভ্যাসে কম ফলমূল ও শাকসবজি, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে প্রেসার বেড়ে যায়। প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যায়াম, ওষুধের পাশাপাশি তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাসও মেনে চলতে হবে।
১। https://www.hopkinsmedicine.org/health/conditions-and-diseases/high-blood-pressure-hypertension/pediatric-hypertension
২। https://www.cdc.gov/bloodpressure/5_surprising_facts.htm