১। মদের গ্লাসে চুমুক দেবার পরপর তা মগজে ফেলে প্রভাব।
মগজ যে সংকেত পাঠায় আর এর সাথে যে রাসায়নিক আর পথরেখা সেগুলো মন্থর হয়ে যায়। মেজাজ দেয় বদলে, ধীর করে রিফ্লেক্স, ভারসাম্য হয় টলায়মান। সোজাসুজি চিন্তা করা যায় না আর দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি সংরক্ষণে হয় সমস্যা।
২। মগজ সংকুচিত হয়
দীর্ঘ সময় যদি অতিরিক্ত মদ পান করা হয় তাহলে মগজ হয় সঙ্কুচিত। তাই শেখা, ভাবা আর কোন জিনিষ মনে রাখতে সমস্যা হয়। দেহ তাপ স্থির রাখা, ব্যলেন্স রাখা সম্ভব হয় না।
৩। ঘুমের উপর প্রভাব
মদ পানে নিদ্রালু মনে হলেও ঘুম ভাল হয় না। এপাশ ওপাশ, দুঃস্বপ্ন দেখা চলে, বার বার ঘুম থেকে উঠতে হয় জল বিয়োগের জন্য।
৪। বাড়ে পাকস্থলির অম্ল
মদ্যপান উত্তেজিত করে পাকস্থলির আস্তরণ আর পাচক রসের ক্ষরণ বাড়ায়। যথেষ্ট অম্ল আর ক্ষার হলে শরীর খারাপ লাগে। বেশি দিন মদ্য পান চললে হয় আলসার। আর বেশি পাচক রস ক্ষরণ হলে ক্ষুধা লাগে না।
৫। ডায়রিয়া আর বুক জ্বলা
ক্ষুদ্রান্ত্র আর মলান্ত্র উত্তেজিত হয়। এর মধ্যে খাদ্যের চলনে হয় বিঘ্ন । হার্ড ড্রিংকিং থেকে ডায়রিয়া , হয় বুক জ্বলা।
৬। বার বার প্রস্রাব
মগজ ক্ষরণ করে হরমোন যা কিডনিকে খুব বেশি প্রস্রাব করতে দেয়না। কিন্তু এলকোহল পান করলে মগজে যায় নিবারণ সঙ্কেত। বার বার প্রস্রাব করতে হবে আর শরীরে হয় পানি শুন্যতা। দীর্ঘ দিন মদ পানে কিডনি অনেক অসুস্থ হতে পারে।
৭। যকৃতের রোগ
মদ পানে প্রবল প্রভাব পড়ে লিভারের উপর। হয়ে যায় মেদল , আর তন্তুতে ভরপুর। কমে যায় রক্ত চলাচল আর লিভারের বেচে থাকা হয় কঠিন । ক্রমে হয় লিভারের সিরোসিস।
৮। অগ্ন্যাশয় আর ডায়াবেটিস
অগ্ন্যাশয় যেমন হরমোন ইনসুলিন ক্ষরণ করে তেমনি পাচক রস ও ক্ষরণ করে। এলকোহল এসব প্রক্রিয়া গোলমেলে করে দেয়। হয় প্রদাহ। পরে অগ্ন্যাশয়ে ক্ষতি ইনসুলিন ক্ষরণে আর পাচক রসে।
৯। হ্যাং ওভার: জল ভরা ফুলো চোখ, ঢুলু ঢুলু। পানি শুন্যতা হয়, আর মগজ আর রক্তনালি প্রসারিত হয়। মাথা ধরে। বমি বমি ভাব
১০। হার্টের অফবিট
রাতে আকণ্ঠ মদ্য পানে হার্টের বিদ্যুত সংকেত এলোমেলো হয়, হৃদছন্দ হয় অনিয়ম। হার্টের ক্ষতি হয় ।
১১। দেহ তাপে পরিবর্তন: রক্ত নালি আর রক্ত চলাচল ত্বকে প্রবাহ বাড়ে। তাহলে শরীর হয় লাল, হয় কিছু উষ্ণ। দীর্ঘ কাল আকণ্ঠ মদ পানে বাড়ে রক্তচাপ। ক্ষরণ হয় স্ট্রেস হরমোন।
১২। ইম্মুন সিস্টেম: কমে যায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
১৩। হরমোন ব্যালেন্স: টালমাটাল করে দিতে পারে হরমোনের ভারসাম্য।
১৪। শ্রুতি: কমিয়ে দেয় শ্রুতি ক্ষমতা।
১৫। হাড়, পেশি: ক্যালসিয়াম ব্যালেন্স হয় নড় বড়ে। হাড়ের ফোপরা হওয়া বাড়ে। আর পেশি হয় দুর্বল।