বিশ্বের তিন কোটি আশি লক্ষ আলঝাইমার’স রোগীর জন্য নতুন আশার আলো। বিজ্ঞানীরা এই প্রথম আলঝাইমার’স রোগীদের জন্য ন্যাজাল ভ্যাকসিন টেস্ট করছেন। এই টিকা যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এদের মধ্যে রোগের আবির্ভাব ঠেকাতে সহায়ক হবে। আর যারা এতে ভুগছেন এদের চিকিৎসাতেও কাজে লাগবে। বোস্টনে প্রথম হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে, ২০ বছরের গবেষণার ইতি ঘটতে যাচ্ছে।
পৃথিবীতে ৩৮ মিলিয়ন আলঝাইমার’স রোগী আছেন। এ হল ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে বেশি ঘটা ধরন। আর এতে ঘটে বুদ্ধিবৃত্তির অখণ্ডনীয় ক্ষতি। বিজ্ঞানীদের ধারনা মগজের ভেতরে আঠালো প্লাক জমার ফলে এর সৃষ্টি এই প্লাক বিটা অ্যামাইলয়েড নামে প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
নতুন টিকার মধ্যে আছে একটি ড্রাগ যার নাম প্রটোলিন (Protollin )। এটি রোগীর ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। এর ফলে মগজে প্রেরিত হয় শ্বেত কণিকাদের যেগুলো মগজের ক্ষতিকর প্লাক পরিষ্কার করে।
বর্তমানে আলঝাইমার’স রোগ থেকে আরোগ্য লাভের উপায় নেই। তবে গবেষকরা নিরাময়ের দিকে এগুচ্ছেন। জুন মাসে আমেরিকায় ২০ বছরের গবেষণালব্ধ পদ্ধতি অনুমতি পেল।
ডিমেনশিয়া রোগী আমাদের দেশে কয়জন আমরা জানি? কী করে তাদের সাপোর্ট দেই এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে।